পড়ুয়ারা হিন্দিভাষী,স্কুলে বিতরণ হয় বাংলা বই, জানেনই না চেয়ারম্যান
বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: মাত্র ২৭ জন পড়ুয়া ও তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে ধুঁকছে ২ নম্বর বিবেকানন্দ জিএসএফপি বিদ্যালয়। শিলিগুড়ি জংশনের কাছে হিলকার্ট রোডের পাশে হিমাচল কলোনিতে সরকারি এই প্রাইমারি স্কুলটি বহু পুরনো। এক সময় এখানে পড়ুয়াদের ভিড় উপচে পড়ত । নতুন করে ক্লাস রুম বানাতে হয়েছিল। এখন পড়ুয়ার অভাবে সেই ঘর তালাবন্ধ। দু’টি শ্রেণিকক্ষ নিয়েই চলছে স্কুল। স্কুলটির এই দূরাবস্থার কথা জানেন না শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান দিলীপকুমার রায়। স্কুলটি কোথায় সেটাও তাঁর জানা নেই। যে ২৭ জন পড়ুয়া রয়েছে তারা সকলেই হিন্দিভাষী। কিন্তু এই স্কুলটি বাংলামাধ্যম। তাই এখানে হিন্দি শিক্ষক নেই। চেয়েও পাওয়া যায়নি। সেকারণে মেলেনি হিন্দি বই।
হিন্দিভাষী ছেলেমেয়েদের বাংলায় পড়াতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত বলেন, ২০০৭ সালে এই স্কুলে কাজে যোগ দিয়ে ২০০ ছাত্রছাত্রী পেয়েছিলাম। তারপর কাছাকাছি এলাকায় একের পর এক প্রাথমিক স্কুল চালু হওয়ায় একটু একটু করে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। করোনা সংক্রমণের পর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কমে যায়। এখন পাঁচটি ক্লাসে মোট ২৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। তাও সকলে প্রতিদিন স্কুলে আসে না। গড়ে ১০-১৫ জন ছাত্রছাত্রী আসে। মিড ডে মিলের টানেও এরা স্কুলমুখো হতে চায় না। প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমরা বহুবার পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়েছি। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে বলেছি। আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাবা-মা কাজে যাওয়ায় অনেকে তাদের ছোট ভাইবোনদের বাড়িতে দেখাশোনা করে। এভাবে আর কতদিন এই স্কুল চলবে জানি না।