শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে যোগ্য শিক্ষকের তালিকায় ৭৮৯
বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে ‘নন টেন্টেড’ বা যোগ্য প্রায় ৭৮৯ জন। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে সংশ্লিষ্ট দু’টি শিক্ষা জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে ওই তালিকা পাঠানো হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে বলে জানিয়েছেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। তাঁরা ফের স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করছেন। পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন।
২০১৬ সালের এসএসসি’র প্যানেলে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় ৩০০’র বেশি শিক্ষক শিক্ষিকার নাম রয়েছে। যাঁরা ২০১৮ সালে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই প্যানেল থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করেছে পর্ষদ। এদিন শিলিগুড়ি বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) অফিসে ওই তালিকা তারা পাঠিয়েছে। ডিআই অফিস সূত্রে খবর, যোগ্যদের তালিকা থেকে র্যাঙ্ক জাম্প, ওএমআর মিসম্যাচ এবং প্যানেল বহির্ভূতদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এখানে যোগ্য শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩০০। ডিআই অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট তালিকা প্রতিটি স্কুলে পাঠানো হয়েছে।
এদিন দুপুরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোঁজ নিতে ডিআই অফিসে ভিড় করেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা বলেন, ২০১৬ সালের প্যানেল অনুসারে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় যাঁরা প্রথম যোগ দিয়েছিলেন, সেই তালিকা ধরেই যোগ্যদের বাছা হয়েছে। যোগ্যদের অনেকে বর্তমানে অন্য জেলায় ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছেন। সেই যোগ্যদেরও চাকরি আছে। ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষক স্বয়ংগম ভাওয়াল বলেন, সাময়িক স্বস্তি মিলল।
যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের শিলিগুড়ির আহ্বায়ক সেলিম জাফর বলেন, শিলিগুড়ির একটি স্কুলে একজনের ওএমআর মিসম্যাচ রয়েছে। পর্ষদ যোগ্যদের তালিকা পাঠানোর পর ওই স্কুলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারি তালিকা থেকে ওই ব্যক্তির নাম বাদ গিয়েছে। এতেই এবারের তালিকা নিয়ে আশ্বস্ত হয়েছি। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা এসএসসি’র চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে রাখার পর এই সাফল্য মিলেছে। আমরা স্কুলে যাব। তবে এটা সমায়িক স্বস্তি। অবসরকালীন পর্যন্ত চাকরি সুনিশ্চিত করার দাবিতে আমাদের আন্দোলন ও আইনি লড়াই চলবে।
জলপাইগুড়ি জেলায় চাকরিহারাদের মধ্যে ‘নন টেন্টেড’ বা ‘যোগ্য’ হিসেবে ৪৮৯ জন। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জেলার ডিআই অফিসে ওই তালিকা এসেছে। যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের জলপাইগুড়ির নেত্রী তথা কুকুরজান হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা সেলিনা আখতার বলেন, ২০১৬ সালের প্যানেলে যাঁরা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা তাঁদের প্রায় সবার নামই জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে যদি এক-দু’জনের নাম না এসে থাকে, চিন্তার কিছু নেই। তাঁদেরও নামও চলে যাবে। বাঁকুড়ার স্কুল থেকে বদলি হয়ে জলপাইগুড়িতে এসেছেন সেলিনা। সেই সুবাদে বাঁকুড়া জেলার তালিকায় তাঁর নাম এসেছে।
স্কুলের পক্ষ থেকে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু জানানো না হলেও ওই তালিকায় নিজের ও স্ত্রীর নাম থাকায় স্বস্তিতে জলপাইগুড়ি শহরের কলেজপাড়ার শিক্ষক দম্পতি। দেবপ্রিয় সাহা ও তাঁর স্ত্রী অনামিকা দে। তাঁদের বক্তব্য, সাময়িক স্বস্তি মিলল। জলপাইগুড়ির ডিআই অফিস। - নিজস্ব চিত্র।