বাংলার ভোটরক্ষা কর্মসূচিতে প্রথম কালীগঞ্জ বিধানসভা
বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: ‘বাংলার ভোটরক্ষা’ কর্মসূচিতে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে কালীগঞ্জ বিধানসভা। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত এই বিধানসভাতেই ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ একশো শতাংশ হয়েছে। আর তাতেই রাজ্যের বাকি বিধানসভাগুলোকে পিছনে ফেলে দিয়েছে কালীগঞ্জ। তার শংসাপত্রও এসেছে তৃণমূলের শীর্ষমহল থেকে। মাত্র পাঁচদিনের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন করেছে কালীগঞ্জের ব্লক নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ব্লক সংগঠনের এই সাফল্যের কথা জানান। শক্তিশালী সংগঠনের কারণেই এই সাফল্য এসেছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, বাংলার ভোটরক্ষা কর্মসূচিতে আমাদের কালীগঞ্জ বিধানসভা রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ একশো শতাংশ শেষ হয়েছে। ব্লক সংগঠন দুর্দান্ত কাজ করেছে। তার জন্য বিধানসভার নেতৃত্বকে আন্তরিক অভিনন্দন। এটা সকল আঞ্চলিক ও বুথ নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। শক্তিশালী সংগঠনেই এই সাফল্য এসেছে।
কালীগঞ্জ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কালীগঞ্জ হল তৃণমূল দুর্ভেদ্য গড়। আমাদের শক্তিশালী সংগঠন যৌথভাবে এই কাজ করছে। আগামী নির্বাচনেও আমাদের সংগঠন এই বিধানসভায় ঘাসফুল ফুটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবে। কালীগঞ্জ বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিআরএস অর্থাৎ ব্লক ইলেক্টোরাল রোল সুপারভাইজার তথা ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রতিটা ভোটারের বাড়ি গিয়ে তালিকা যাচাই করেছি। বিগত এক সপ্তাহ ধরে এই নিয়ে আমাদের বিধানসভায় মেগা অভিযান চলছিল। আমাদের জেলা সভাপতির নেতৃত্বেই এই কাজ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল কালীগঞ্জ বিধানসভায় বাংলার ভোটরক্ষা কর্মসূচির কাজ শুরু হয়। সেইমতো বিধানসভার ৩০৯ জন বুথ লেভেল এজেন্ট ও ব্লকের নেতৃত্বরা বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। ভোটার সংশোধনের প্রকাশিত তালিকা ধরে মোট ১১ হাজার ভোটারের সমীক্ষা করে কালীগঞ্জের ব্লক নেতৃত্ব। তাতে নতুন সংযোজন হওয়া ৯ হাজার নতুন ভোটারের মধ্যে ভুয়ো ভোটার পাওয়া যায়নি।
তবে বেশি কিছু ভোটাররা নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এমনটাই বুথ লেভেল এজেন্টরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্য করেন। সেই মতো তাঁদের ফর্ম-৭ জমা করানো হচ্ছে। গত ২১ এপ্রিলের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহেরও কম সময়ে এই কাজ শেষ হয়েছে।