• সৌদি আরবে কাজে গিয়ে মৃত্যু বহরমপুরের যুবকের
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সৌদি আরবের তাবুক শহরে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের এক যুবকের। দুই সপ্তাহ কাটতে চলল, দেহ ফেরাতে পারছে না পরিবার। আরবের একটি হাসপাতালে সাফাইয়ের কাজে গিয়েছিলেন বহরমপুরের বোয়ালিয়াডাঙার বাসিন্দা শুভ হাজরা। গত ১২ এপ্রিল সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। দেহ ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুভর বাড়িতে তাঁর মা ও বাবা ছেলেকে একবার দেখার জন্য আকুল হয়ে আছেন। দেহ দেশে ফেরানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য চেয়েছে পরিবার। দেহ দেশে আনার জন্য খরচ হয় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। সেই টাকা কিভাবে জোগাড় করবে, বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। 

    জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে বহরমপুর থেকে সৌদিতে একটি হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজে যান শুভ। এই কাজ করার জন্য দালালের মাধ্যমে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে ওকে বিদেশে পাঠিয়েছিল পরিবারের লোকেরা। সেখানে হাসপাতালে সাফ সাফাইয়ের কাজ করে প্রতি মাসে বেতন পেতেন ১৩০০ রিয়াল। নিয়ম করে বাড়িতে টাকা পাঠাতেন শুভ। তাঁর পাঠানো অর্থেই সংসার চলত। কয়েকদিন পর ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর আগেই শুভর মৃত্যু হল। 

    মৃতের বাবা সঞ্জয় হাজরা বলেন, কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম আমার ছেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে। তার মৃতদেহ কিং খালেদ হাসপাতালে আছে। মৃত্যুর খবর দিয়েছে আমাদের বহরমপুরের অপর এক যুবক। সেও ওখানে কাজ করে। কয়েকদিন পর বাড়িতে আসার কথা ছিল, অথচ তার আগেই মৃত্যু হল। 

    তিনি আরও বলেন, আমরা খুবই গরিব। আমার পক্ষে সৌদি আরবে গিয়ে মৃতদেহ আনার ক্ষমতা নেই। আমি ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে আবেদন করছি, আমার ছেলের মৃতদেহ কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আমার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। আমার এক ছেলে আছে। এমতাবস্থায় আমি আর্থিক দিক থেকে খুব দুর্বল। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে হাইকমিশনে আবেদন জানিয়েছি। বহরমপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার মতিউর রহমান বলেন, দেড় বছর আগে শুভ কাজে যায়। ভারতীয় টাকায় প্রায় ২৪ হাজার টাকা বেতন পেত। কাজ করতে করতেই ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চারদিন চিকিৎসা চলার পর ওঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দুসপ্তাহ হয়ে গেল দেহ ফেরানো যাচ্ছে না। খবর পেয়েই আমরা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিদেশমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। দেহ ফেরাতে খরচ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। এই টাকা কিছুতেই 

    এই পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
  • Link to this news (বর্তমান)