সংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘায় জগন্নাথদেবের নতুন মন্দিরের পাশাপাশি আদি মন্দিরকে(মাসির বাড়ি) সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই দীঘা থানার কাছে মূল সড়ক থেকে মাসির বাড়ি ঢোকার মুখে কংক্রিটের সুউচ্চ তোরণ তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে ওই তোরণকে সুসজ্জিত করা হবে এবং তাতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে। এর আগে দীঘার মূল সড়ক থেকে মাসির বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি দু’দিকে সম্প্রসারণ এবং শক্তপোক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাসির বাড়ির সামনে রথ রাখার জন্য চাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এবছর রথযাত্রায় প্রথমবারের মতো সৈকত শহরে রথের চাকা গড়াবে। নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে রথ পৌঁছবে মাসির বাড়ি। সবদিক মাথায় রেখে আদি জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকাকে সুসজ্জিত করা হচ্ছে। পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের কাছে একটি নতুন ছোট মন্দির গড়বে হিডকো। সেখানেও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি থাকবে। আগামী ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন। মন্দির উদ্বোধন হয়ে গেলে মাসির বাড়িতেও সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকবে। সেকথা মাথায় রেখে মাসির বাড়ি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বসার জন্য কংক্রিটের চেয়ার, সবুজ ঘাসযুক্ত বাগান সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। মন্দির সংলগ্ন এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে খবর। পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের স্নানের কথা মাথায় রেখে এর আগে পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের কাছে নতুন একটি ঘাটও তৈরি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ওল্ড দীঘার আদি বা পুরনো জগন্নাথ মন্দিরই হবে মাসির বাড়ি। রথযাত্রার সময় রথে চেপে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী পুরনো জগন্নাথ মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকাকে সাজিয়ে তোলার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ মেনে কাজ শুরু হয়। এখন পর্যটক ও উৎসাহী মানুষজন জগন্নাথ মন্দিরের শেষ পর্যায়ের কাজ দেখতে এসে মাসির বাড়িতেও একবার ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন। ডিএসডিএর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অপূর্বকুমার বিশ্বাস বলেন, পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও চলছে জোরকদমে।