• সিউড়িতে রাতে বন্ধ থাকে সমস্ত ওষুধের দোকান, আতান্তরে মানুষ
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: সিউড়িতে রাত্রিবেলা বন্ধ থাকছে সমস্ত ওষুধের দোকান। তাই মানুষকে রাতবিরেতে ওষুধের খোঁজে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। কিন্তু সরকারি নিয়মানুযায়ী রাতের বেলা, বিশেষ করে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের আশেপাশে ওষুধের দোকান খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই নিয়মকে উড়িয়ে দিয়ে রাত ন’টার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহরের অধিকাংশ ওষুধের দোকান। রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা বাজলে কার্যত সমস্ত ওষুধের দোকানই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র শহরের দু’-তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া সিংহভাগ ওষুধের দোকান বন্ধ থাকছে বলে অভিযোগ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। কিন্তু কোনও হেলদোল নেই জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের। 

    উল্লেখ্য, জেলা সদর সিউড়িতেই রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালটি সাধারণ থেকে সুপার স্পেশালিটি হওয়ার পর রোগীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। এই জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীরা এখানে আসেন চিকিৎসার জন্য। তাঁদের ওষুধের দরকার পড়লে তাঁরা হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানেই ছুটে যান। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল লাগোয়া অধিকাংশ ওষুধের দোকান গভীর রাতে বন্ধ থাকে। এদিকে দোকান মালিকদের একাংশের অভিযোগ, রাতের বেলা দোকানে ফার্মাসিস্ট থাকতে চাইছেন না। অনেক দোকানদার ফার্মাসিস্ট ছাড়াই রাতে জরুরি পরিষেবা দিতে চাইলেও ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের সরকারি আইনের গেরোয় দোকান খুলে রাখা যাচ্ছে না। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল লাগোয়া এক ওষুধ দোকানের মালিক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমরা চাই রাতে কয়েকটি দোকান খোলা রাখতে। কিন্তু রাতে ফার্মাসিস্ট থাকে না। এদিকে ফার্মাসিস্ট ছাড়া দোকানও খোলা রাখতে দিচ্ছে না ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসাররা। রাতে হাসপাতালের রোগীরা জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ চাইলে কোথায় পাবে? এই অসুবিধাটা অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু আমরা নিরুপায়। 

    স্বাস্থ্যদপ্তরের জেলার এক আধিকারিক বলেন, আমরা ওষুধের দোকানের মালিকপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। যাতে রাতে অন্তত কয়েকটি দোকান খোলা রাখা যায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)