• হয়রানি ঠেকাতে অনলাইন মিউটেশনে জোর দেওয়ার নির্দেশ মেয়র ফিরহাদের
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অনলাইন মিউটেশনে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে মিউটেশনের জন্য নথিপত্র নিয়ে যাতে পুরসভায় ছোটাছুটি করতে না হয়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। বুধবার টাউন হলে কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় বিভাগের সব স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও টেবিলে মিউটেশন কিংবা অ্যাসেসমেন্ট সংক্রান্ত ফাইল ১৫ দিনের বেশি ফেলে রাখা চলবে না।

    পুরসভার সম্পত্তি কর বিভাগের ইনসপেক্টর থেকে শুরু পর্যন্ত চিফ ম্যানেজার পর্যন্ত সব আধিকারিককেই এদিন বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে মেয়র জানিয়েছেন, যেসব অফিসার ভালো কাজ করছেন, যে সমস্ত ওয়ার্ডে নিয়মিত ভালো পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে, বেশি করে শিবির হচ্ছে, মিউটেশন দ্রুত হচ্ছে, সেখানকার অফিসারদের ‘অ্যাপ্রিশিয়েসন লেটার’ দেওয়া হবে। কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের ঢিলেমি কিংবা অনিয়মে যুক্ত থাকার বিষয়ে যে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও রেয়াত করবে না, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। অনলাইনে মিউটেশনের উপর বাড়তি জোর দিয়ে এদিন মেয়র বলেন, ‘এখন সমস্ত কাজই অনলাইনে হচ্ছে। অনলাইনে মিউটেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষকে নিয়মিত পুরসভার অফিসে আসতে হচ্ছে। তিন-চার মাস ধরে মিউটেশন পড়ে থাকছে। এটা বন্ধ করতে হবে। খুব জরুরি কারণ ছাড়া দেরি করা চলবে না।’ আধিকারিকদের তাঁর পরামর্শ, ‘যখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বা শিবিরে মানুষ আসছেন, তখনই তাঁদের অনলাইনে মিউটেশনের পদ্ধতি ভালোভাবে শিখিয়ে-পড়িয়ে দিতে হবে। এর পাশাপাশি ‘ওয়ান ভিজিট মিউটেশন’ যেন ত্বরান্বিত হয়, সেক্ষেত্রেও জোর দিতে বলেছেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘কোন অফিসারের টেবিলে ১৫ দিনের বেশি ফাইল যেন পড়ে না থাকে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।’ এ প্রসঙ্গে পুরসভার বিভাগীয় আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে অনলাইনে মিউটেশন হয়। এমনকী, জটিল মিউটেশনের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কাগজপত্র অনলাইনেই আপলোড করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেটা কম হচ্ছে। মেয়র সেই কাজের গতি বাড়াতে বলেছেন।’ 

    এছাড়া, এদিনের বৈঠকে আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হওয়া এবং বাণিজ্যিক ভবনের সম্পত্তি কর বাকি থাকা নিয়ে আলোচনা হয়। ব্যবসার ক্ষেত্রে সম্পত্তি কর না মেটালে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ফিরহাদ বলেন, ‘যাঁরা ব্যবসা করছেন কিংবা আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করছেন, তাঁদের কর ফাঁকি রুখতে আমাদের কড়া ভূমিকা নিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ। আইনি বিষয়গুলি বিবেচনা করেই পদক্ষেপ করা হবে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)