• ‘এই কাশ্মীরকে অচেনা মনে হচ্ছে’, শিউরে উঠেছেন রুবি
    এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • রুবি দাস (নৃত্য শিল্পী)

    কাশ্মীর আমার স্বপ্নের জায়গা। সোনমার্গ, গুলমার্গ, পহেলগামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোনও মানুষকে মুগ্ধ করে। তার মধ্যে সব থেকে সুন্দর এলাকা হলো পহেলগামের বৈসরন উপত্যকা। অনেকে এটাকে ‘মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড’ বলে থাকেন। কিন্তু জঙ্গিদের হত্যালীলা দেখার পরে সেটাকে ‘মৃত্যু উপত্যাকা’ বলে মনে হচ্ছে। সাধারণ পর্যটকদের উপর যে ভাবে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে, সেই দৃশ্য দেখে আমি ভয়ে শিউরে উঠেছি।

    কয়েক বছর আগেও আমি কাশ্মীর বেড়াতে এসে ছিলাম। তখনও সোনমার্গ, গুলমার্গ, পহেলগামে ঘুরে বেড়িয়েছি। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তারই টানে সপ্তাহখানেক আগে পরিবারের লোকেদের নিয়ে শ্রীনগরে পৌঁছায়। সোনমার্গ, গুলমার্গ ঘুরে বুধবার আমাদের পহেলগামে পৌঁছানোর কথা ছিল। দু’দিন আমরা ওখানেই থাকব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু জঙ্গি হামলার পরে সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে।

    গত কয়েক দিন ধরে আমরা সবাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম। কাশ্মীরের অপরূপ সৌন্দর্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে গিয়ে চারপাশের পরিবেশ। রাস্তাঘাট শুনশান। দোকানপাট বন্ধ। হোটেলের রুম থেকে বেরোচ্ছেন না পর্যটকরা। রাস্তায় ভারি বুটের শব্দ। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা। সকালে সোনমার্গ থেকে গুলমার্গ আসার পথে লক্ষ্য করলাম, একশো মিটার অন্তর সেনা বাহিনীর জওয়ানরা পাহারা দিচ্ছেন। মাথার উপরে ঘন ঘন চক্কর মারছে সেনা হেলিকপ্টার। রাস্তার ধারে কিছু শুকনো খাবারের দোকান খোলা ছিল। চায়ের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে কোনও লোকজনের দেখা নেই। হঠাৎ করে যেন সব কিছু থমকে গিয়েছে। এই কাশ্মীরকে সত্যিই আমার অচেনা মনে হচ্ছে। এই কাশ্মীরকে আমি চিনি না।

  • Link to this news (এই সময়)