রূপক মজুমদার, বর্ধমান
গত ১৯, ২০ তারিখ পহেলগাম ঘুরে গিয়েছেন বর্ধমান শহরের আঁকড়বাগানের বাসিন্দা অক্ষয় নন্দী, কোটালহাটের পাভেল সাহারা। ২২ তারিখ, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা নেমে আসেন শ্রীনগরে। তার পর থেকে সেখানেই আটকে রয়েছেন সাত জন পর্যটকের এই দল। ট্যুর অপারেটর অক্ষয় বলেন, 'পহেলগাম থেকে আমরা যখন নামতে শুরু করেছি, সেই সময়ে বিভিন্ন হোটেলের ট্যুর এজেন্টরা ফোন করে হত্যালীলার কথা জানায়। শ্রীনগরে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা।' পাভেলের কথায়, 'খুব ভয়ে রয়েছি। ফ্লাইটে ফিরে যাওয়ার মতো টাকাও নেই। খাবার পাচ্ছি না। পেলেও অনেক দাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পর্যটকরাও শ্রীনগরের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যে ডাল লেক পর্যটকে ভরে থাকত, সেখানে পাখিও আসছে না।'
গত ১৪ এপ্রিল বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়া থেকে ২৭ জন পর্যটককে নিয়ে আসানসোল থেকে হামসফর এক্সপ্রেস ধরেন অক্ষয়রা। তিনি বলেন, 'একটা দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে এখানে আমরা সাত জন আটকে রয়েছি। ২০ জনকে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে ফেরত পাঠিয়েছি। এখন যে বাড়ি ফিরব, ফ্লাইটে ৩৫ হাজার টাকা ভাড়া চাইছে। ধসের জন্য রামবান রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য রাস্তা ধরে যেতে ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা ভাড়া চাইছে। আগে ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ভাড়া নিত।'
শ্রীনগরের পরিস্থিতি নিয়ে অক্ষয় বলেন, 'মিলিটারির গাড়ি, এক পা ফেললেই চেকিং, হাজারো প্রশ্ন-গোটা শ্রীনগরে কাফুর অবস্থা। আমার স্ত্রী পুনম চৌধুরী নন্দীও রয়েছেন আমার সঙ্গে। খুব আতঙ্কে রয়েছি।' পাভেলের বক্তব্য, 'এই কাশ্মীর বেড়ানোর জন্য বর্ধমান থেকে এখানে আসিনি। পহেলগাম থেকে শ্রীনগরে এসে সব জানতে পেরে শীতের দেশে ঘামতে শুরু করেছি। পরিবার বারবার ফোন করছে। ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছি।'