• ‘দাদা ফোন করে বলল ভাই আর নেই... সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না’, বলছেন শহিদ ঝন্টুর ভাই
    এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ঝুন্টুরা তিন ভাই। ঝন্টু ও তাঁর বড়দা দু’জনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ঝন্টুর দাদা রফিকুল শেখ কাশ্মীরেই অন্যত্র পোস্টেড রয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর খবর সেনাবাহিনী মারফত প্রথম পান তাঁর স্ত্রী। এ দিন সকালে বাড়িতে খবরটি পাঠান রফিকুল। ঝন্টুর মা প্রায় শয্যাশায়ী। বাবার শরীরও অসুস্থ। খবর আসার পর ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সকলেই।

    ঝন্টুর স্ত্রী, একটি ছেলে ও মেয়ে থাকেন আগ্রায়। ছুটি পেলে নদিয়ায় গ্রামের বাড়ি আসতেন। পর পর তিন বছর কাশ্মীরে পোস্টিং পাওয়ার পর মাঝে অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল। কয়েকমাস আগেই ফের কাশ্মীরে পোস্টেড হন। মঙ্গলবারের ঘটনার পর ইন্ডিয়ান আর্মির যে বাহিনী জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পহেলগাম, রাজৌরি, পুঞ্চ-সহ বিভিন্ন জায়গায়, সেই টিমের সদস্য ছিলেন ঝন্টু।

    পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে বেছে বেছে ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়ে হত্যা করা হয়েছে পর্যটকদের। যা নিয়ে ধর্মীয় ভেদাভেদের আওয়াজ তুলছেন অনেকেই। ঝন্টুর খুড়তুতো দাদা নাজিম বলেন, ‘কাশ্মীরে ধর্ম জেনে মারা হয়েছিল, কিন্তু আমার ভাই তো মুসলমান। আমার ভাইকে তা হলে কে মারল? ওদের কোনও জাত থাকে? সন্ত্রাসবাদীদের কোনও জাত নেই।’

    ঝন্টুর শহিদ হওয়ার বাড়িতে পৌঁছতেই একে একে জড়ো হতে শুরু করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের গ্রামের ছেলে জঙ্গিদের হাত থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন। ঝুন্টু তাঁদের কাছে গর্ব, বলছেন সকলেই। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝন্টুর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)