• ফিরতে চাওয়ার মরিয়া চেষ্টা, লাভ-লোকসান ভুলে ট্যুর বাতিলের সিদ্ধান্ত অনেকেরই
    এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • কেউ ভূস্বর্গ থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরতে চাইছেন, আবার কেউ কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনাই বাতিল করে দিচ্ছেন। মঙ্গলবার কাশ্মীরের ‘মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড’-এ জঙ্গি হামলার পর থেকে আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে পর্যটকদের। গত ১৬ তারিখ হুগলির পান্ডুয়া, সিমলাগড়, বৈঁচিগ্রাম, চুঁচুড়া থেকে ২৬ জন পর্যটক একটি পর্যটন সংস্থার সঙ্গে ভূস্বর্গে বেড়াতে যান। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা বৈসরন ভ্যালির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। সেই পর্যটন সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ দিন সকালেই তিনি ২৬ জন পর্যটকদের নিয়ে বৈসরন যাওয়ার জন্য ঘোড়ার পিঠে ওঠেন। ঠিক সেই সময়েই হঠাৎ করে ‘পালাও পালাও’ বলে আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। তখন তাঁরা সেখান থেকে চলে আসার পর জানতে পারেন জঙ্গি হামলার কথা।

    তবে সেই দিন প্রাণে বাঁচলেও এখনও তাঁরা আতঙ্কিত। মঙ্গলবার থেকে বন্দিদশা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে প্রাণ হাতে নিয়ে পহেলগাম থেকে তাঁরা বেরিয়েছেন কাটরার উদ্দেশে। পর্যটন সংস্থার ওই কর্ণধার বলেন, ‘বুধবার রাতে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসা করেছে খাবার রয়েছে কি না? রাস্তায় লোকজনও খুব একটা নেই। এখনও পর্যন্ত আমাদের আতঙ্ক কাটেনি। যদি রাস্তায় আবার কোথাও বিপদে পড়ি।’

    অন্য দিকে, হুগলির ৫০ জন পর্যটকের একটি দল পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনাই বাতিল করেছে। ২৫ তারিখ হুগলির বৈঁচি থেকে ৫০ জন পর্যটক নিয়ে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল একটি পর্যটন সংস্থার। অনেক আগে থেকেই হোটেল, গাড়ি সব বুক করে রাখা হয়েছিল। বৈঁচির এই পর্যটন সংস্থা পর্যটকদের জানিয়েছে, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য কাশ্মীর ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না সেই চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে সেই পর্যটন সংস্থার কর্তৃপক্ষের।

    বৈঁচির পর্যটন সংস্থার কর্ণধার অমিত দাস বলেন, ‘সরকার যদি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে তাহলে হয়তো যাওয়া সম্ভব। তা না হলে আপাতত কাশ্মীর ভ্রমণ বাতিল করতে হবে। কারণ জেনে বুঝে মানুষকে বিপদে ফেলা যাবে না।’

  • Link to this news (এই সময়)