জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ রাজ্য জুড়ে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই প্রতিবাদে সামিল হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং আইনজীবীরা। হামলার প্রতিবাদে মিছিল হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও।
পহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, হাতে মোমবাতি নিয়ে মৌন মিছিল করা হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাসনা গৃহ থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত মোমবাতি হাতে ‘সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস হোক’ শীর্ষক ওই মৌন মিছিলে সামিল হন পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিকরা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, ‘এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদের ভাষা নেই৷’
ওই জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে মৌন মিছিল হয় হাওড়াতেও। হাওড়া সদর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে এই মিছিলে সামিল হন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ রায়। সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগরে একই ইস্যুতে মোমবাতি মিছিল করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার মৌন মিছিল করেন বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরাও। ওই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন কর্মবিরতিও করেন তাঁরা।
পর্যটকদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মিছিল হয় বারাসতেও। ওই হামলার প্রতিবাদে বারাসাত কাঠগোলা মোড়ে, জাতীয় সড়কের উপরে, টায়ার জ্বালিয়ে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলে অবরোধ। অন্যদিকে, বারাসাত পূর্ব-দক্ষিণ এরিয়া সিপিআইএম কমিটির তরফেও একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়। ওই হামলার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার করার জন্য কেন্দ্রর কাছে দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আহত কমবেশি ২০ জন। ইতিমধ্যেই ওই হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের মানুষ। যারা ওই হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে অ্যাকশন নেওয়া হবে তাতে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।