জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যাংমারি চা বাগানের ভূটান সীমান্ত লাগোয়া আপার ডিভিশনে ওই হরিণ শাবকটিকে ছোটাছুটি করতে দেখেন স্থানীয় শ্রমিকরা। কয়েকটি কুকুর ওই হরিণ শাবকটিকে তাড়া করছিল। শ্রমিকরা কুকুরগুলিকে তাড়িয়ে হরিণ শাবকটির প্রাণ বাঁচান। সেটিকে নিরাপদ জায়গায় রেখে তারা চা বাগানের ম্যানেজারকে খবর দেন। ছোট্ট হরিণ শাবকটিকে দেখতে বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমান। চা বাগানের ম্যানেজার বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জে খবর দিলে বনকর্মীরা এসে হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, হরিণ শাবকটি বয়স ২৫-৩০ দিন। কোনও ভাবে মায়ের সঙ্গ ছাড়া হয়ে সেটি লোকালয়ের কাছাকাছি চলে এসেছিল। এর পরই কুকুরের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে সেটি ছোটাছুটি করতে থাকে। ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার অশেষ পাল জানান, উদ্ধার করা হরিণ শাবকটিকে বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া স্কোয়ার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। জানা গিয়েছে, শাবকটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরই পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও চা বাগানের নিকাশি নালায় দেখা গেল চিতাবাঘের শাবক। বাগানের ৪/২ নম্বর সেকশানর নিকাশি নালায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শাবকটিকে দেখা যায়। এই বাগানেরই ৪/৪ সেকশনে ছাগল টোপ দিয়ে পাতা খাঁচাতে বুধবার একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটি ধরা পড়েছিল। বনদপ্তরের মাদারিহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা চিতাবাঘের শাবক দেখা যাওয়ার খবর পেয়ে দলগাঁও চা বাগানে ছুটে আসেন। চা বাগানের যে এলাকায় চিতাবাঘের শাবকটি রয়েছে ওই এলাকায় চা পাতা তোলার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে লোকজন চলে গেলেই মা চিতাবাঘ এসে শাবকটিকে নিয়ে যাবে বলে বনকর্মীরা মনে করছেন। বনকর্মীরা ওই এলাকায় নজর রাখছেন।