সন্ত্রাস-ধ্বস্ত কাশ্মীর থেকে বুধবারই কলকাতায় ফিরেছে সমীর গুহ ও বিতান অধিকারীর কফিনবন্দি দেহ। এ বার বৃহস্পতিবার দুপুর গড়াতেই পুরুলিয়ার ঝালদায় এসে পৌঁছল মণীশরঞ্জন মিশ্রের কফিনবন্দি দেহ। পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন আইবিতে কর্মরত মণীশরঞ্জন। কথা ছিল ভূস্বর্গের সৌন্দর্য উপভোগ করে সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গেই ফিরবেন। তবে মঙ্গলবারের ঘটনা সব ওলটপালট করে দেয়।
এ দিন সকালে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় মণীশরঞ্জন মিশ্রের কফিনবন্দি দেহ। বৃহস্পতিবার রাঁচি বিমানবন্দর থেকে সিআরপিএফ ক্যাম্পে আসে তাঁর কফিনবন্দি দেহ। সেখানে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এর পর পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মণীশরঞ্জনের কফিনবন্দি দেহ আগলে নিয়ে আসেন তাঁর ঝালদার বাড়িতে। অন্তিম যাত্রায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা।
মণীশরঞ্জনের দেহ আসার অনেক আগে থেকেই রাস্তায় ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষ বারের মতো তাঁকে দেখার জন্য অগণিত মানুষ রাস্তার দু ধারে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এলাকায় আইবি অফিসারের দেহ ঢুকতেই ‘মণীশরঞ্জন অমর রহে’ রব তুলে তাঁকে চিরবিদায় জানান এলাকাবাসীরা। বৃহস্পতিবার ঝালদা শ্মশানে ফের একপ্রস্থ ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয় তাঁকে।
এ দিন তাঁর শহিদ সম্মান যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ শ্রী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ অন্যান্যরা। এ দিন তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। মণীশের অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে এ দিন ১২ ঘণ্টা ঝালদা বনধের ডাক দিয়েছিল ‘ঝালদার নাগরিক মঞ্চ’ ও ‘ঝালদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন’। সেই বনধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেন সাধারণ মানুষ।