‘যোগ্য-অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ নিয়ে দীর্ঘ টালবাহালার পর যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা জেলা শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়েছে পর্ষদ। আর সেই তালিকা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আসতেই হাওড়ার গ্রামীণ জেলার বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের উপস্থিতির হার বাড়ল। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত থেকে পঠনপাঠনে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষদের বক্তব্য, সমস্যা কেটে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
রাতারাতি চাকরি বাতিলের ঘোষণা হতেই স্কুলগুলিতে আকাশ ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের নির্দেশে ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা ছাড় পেলেও কারা বেতন পাবেন, তাই নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। সেই ধোঁয়াশা কাটাতেই পর্ষদের এই তালিকা। এই তালিকা নিয়েও একাংশ আপত্তি তুললেও, হাওড়া জেলার চিত্র বলছে ‘যোগ্য’ তালিকায় নাম থাকা সিংহভাগ শিক্ষকই স্কুলে ফিরেছেন।
জানা গিয়েছে, বাগনান থানার ডিএমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষকের নামই রয়েছে যোগ্যদের তালিকায়। ৬জন শিক্ষকই বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। পাঁচলা থানার গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের ৬ জন শিক্ষকের নাম ছিল বাতিলের তালিকায়। কিন্তু যোগ্যদের তালিকায় ৫ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে। এদিন পাঁচ জন শিক্ষকই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। এই বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। সেই বিজ্ঞান বিভাগের ৪ জন শিক্ষকেরই নাম বাতিলের তালিকায় ছিল কিন্তু, এখন পর্ষদের তালিকা অনুযায়ী চার জনই ‘যোগ্য’। এঁরা সকলেই বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। ভাটোরা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের মধ্যে একজনের নাম রয়েছে যোগ্যদের তালিকায়। এদিন তিনিও স্কুলে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে ।
জেলার বাকি স্কুলগুলির চিত্রও একইরকম ছিল। যেমন, শ্যামপুরের গুজারপুর সুরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠের ৩ জন শিক্ষকের নাম বাতিলের তালিকায় ছিল। তবে তিনজনেরই নাম যোগ্য তালিকায় নাম রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দুজন এসেছিলেন একজন আসতে পারেননি কোন বিশেষ কারণে।