সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আরও বেশি করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লোন দিতে হবে
বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সমবায় ব্যাঙ্কগুলি থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়ুয়ারা যাতে আরও বেশি করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন পায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে সমবায় কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানাল বিধানসভার সমবায় ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলায় যেসব সমবায় লোকসানে চলছে, সেগুলি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, জেলা প্রশাসনকে তা দেখতে বলেন ওই কমিটির সদস্যরা। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ এই স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। তিনিও ছিলেন এদিনের বৈঠকে। এদিন জলপাইগুড়িতে সমবায় ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পেট্রলপাম্প ও বেশ কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন জেলার ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। পেট্রলপাম্পে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম কারচুপি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।
জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না পারায় জলপাইগুড়ি জেলায় বেশকিছু সমবায় ব্যাঙ্ক লোকসানে চলছে। এদিনের বৈঠকে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) পুষ্পক রায় সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন। কীভাবে ওই সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে আবারও লাভের মুখ দেখানো যায়, সেব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে জলপাইগুড়িতে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গত আর্থিক বছরে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১১ জন লোন পেয়েছেন। এই সংখ্যা যাতে এবছর বাড়ানো যায়, সেই বিষয়টিও দেখতে বলা হয়েছে। জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে মানুষ জন যাতে কোনওভাবে ঠকে না যায়, সেব্যাপারে নজর রাখতে বলা হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের জেলার আধিকারিকদের। বেশ কয়েকটি পেট্রলপাম্পে গিয়ে জ্বালানিতে কোনও কারচুপি করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছি আমরা। কোথাও তেমন কোনও গরমিল ধরা পড়েনি। সারাবছর যাতে এই নজরদারি বজায় থাকে, সেব্যাপারে বলা হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের।
এদিকে, জেলার বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতিতে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে প্রশ্নের উত্তরে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, এব্যাপারে জানা নেই। তবে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে প্রশাসন নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে।
পরে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ধূপগুড়ি ও রাজগঞ্জের দু’টি সমবায়ে গ্রাহকরা তাঁদের আমানতের টাকা পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠছিল। তবে এখন দু’টি সমবায়ই গ্রাহকদের টাকা সুদ সহ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরমধ্যে ধূপগুড়ির সমবায়টি নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা ফেরাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র