সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের লোকরিগোলা ঘাটে কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। এখনও সেতু না হওয়ায় পারাপারের জন্য বাঁশের মাচা ভরসা স্থানীয়দের। মাচায় বিপজ্জনকভাবে স্থানীয় মানুষ ও স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। সেতুর দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা
ভাগীরথীর শাখা চিথলিয়া নদী চাঁদমণি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে রতুয়া-২ ব্লকের আড়াইডাঙ্গা, পরানপুর, পুখুরিয়া অঞ্চল দিয়ে মহানন্দা নদীতে মিশেছে। এলাকায় এটি লোকরিগোলাঘাট নামে পরিচিত। ঘাটটি রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমণি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোরাক্ষা গ্রাম ও লোকরিগোলা গ্রামের মাঝে রয়েছে। লোকরিগোলা ঘাটে কংক্রিটের সেতুর দাবি পূরণ না হওয়ায় বাসিন্দারা বাধ্য হয়েই বাঁশের মাচা তৈরি করে পারাপার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে জল বাড়লে সেই বাঁশের মাচাটিও ভেঙে পড়লে ছোট ডিঙ্গিতে এলাকার বাসিন্দাদের পারাপার করতে হয়।
এই প্রসঙ্গে রতুয়া- ১ এর বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, লোকরিগোলা ঘাটে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিআর করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দপ্তরের পক্ষে সরেজমিন পরিদর্শন হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।
ব্লকের চাঁদমণি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোরাক্ষা, লোকরিগোলা, চাঁদমণি, শিকটাহার, মালোপাড়া, পাঁচপাড়া কলোনি, মাটিয়ারী, ঝাওয়াবাড়ি, শান্তপুর, শেখপুর, গাইনটোলা, গুঞ্জরোক এবং চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খোঁচকামার, হাড়িকোল, বাটনা, আন্ধারু, মালোপাড়া, বনডাঙ্গা, রসুনপুর, হলদিবাড়ি এইসমস্ত গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। চাঁদমণি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, গোরাক্ষা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, আড়াইডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রতুয়া থানা, ব্লক প্রশাসনিক ভবনে যাওয়ার জন্য এই ঘাট অতিক্রম করতে হয়। বাটনা হাইমাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ রাকিবুল হাসান, শিক্ষক এনামুল হক প্রমুখ বলেন, লোকরিগোলা ঘাটে কংক্রিটের সেতুর জোরালো দাবি স্থানীয়দের। এই ঘাট দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে হাইস্কুল,জুনিয়র হাইস্কুল, দুটি হাই মাদ্রাসা সহ চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করতে হয়। রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরকে দ্রুত কাজ শুরুর প্রস্তাব দিয়েছি। নিজস্ব চিত্র।