সংবাদদাতা, লালবাগ: এবার হেরোইনের সঙ্গে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার গভীররাতে বাংলাদেশে পাচারের আগে ভগবানগোলা থানার চরবাবুপুর পূর্বপাড়া থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য সহ পুলিস এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সন্তু শেখ। বাড়ি চরবাবুপুর। বুধবার তাকে বহরমপুরে মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে তুলে সাতদিনের হেফাজতে নেয় পুলিস। ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ধৃত পাচারকারী স্থানীয় মাদক কারবারিদের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করত। গোপন সূত্রের খবর মারফত বাংলাদেশে পাচারের আগের মুহূর্তে সন্তুকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ৩ কেজি ২০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত মাদকদ্রব্যের বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, এর আগেও সে পুলিস ও বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্তের ওপারে মাদকদ্রব্য পাচার করেছিল। ওইদিন রাতে স্থানীয় কয়েকজন কারবারি হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট ওপারে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। এই কাজের জন্য তাকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। পূর্বে ভগবানগোলা সীমান্ত এলাকা থেকে একাধিকবার হেরোইন ও ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে এই প্রথম ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত হলবলে জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, চরবাবুপুরের বাসিন্দা ধৃত মাদক পাচারকারী পেশায় একজন দিনমজুর। তবে বেশ কিছুদিন ধরেসেদিনেরবেলায় মজুরের কাজ করলেও রাতের অন্ধকারে মাদক কারবারিদের ক্যারিয়ার হিসেবে হাত পাকাচ্ছিল। ভগবানগোলা থানার পুলিস জানিয়েছে, স্থানীয় সোর্স মারফত খবর ছিল, মঙ্গলবার রাতে চরবাবুপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার হবে। খবর মোতাবেক ভগবানগোলা থানার পুলিসের একটি টিম সন্ধ্যার পর থেকে চরবাবুপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ওঁত পেতে ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ পুলিসঅন্ধকারে কয়েকজনকে হেঁটে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যেতে দেখে পিছু নেয়। পুলিসের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাচারকারীরা ছুটতে শুরু করে। তাদেরপিছু ধাওয়া করে পুলিস মাদকদ্রব্য সহ সন্তুকে পাকড়াও করলেও বাকিরা অন্ধকারে গাঢাকা দেয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশের রেড পার্টিতে ইয়াবা ট্যাবলেট বহুল প্রচলিত। দক্ষিণ এশিয়ার ওই দেশগুলি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট মাদক কারবারিদের মাধ্যমে চোরাপথে ভারত হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। বাংলাদেশের যুব সমাজে ইয়াবা ট্যাবলেট নেশার বস্তু হিসেবে খুব জনপ্রিয় বলে জানা গিয়েছে।