• সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ-পোস্ট কার? ইসলামপুরের যুবককে নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিস
    বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে এক যুবক লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। গোয়েন্দারা ওই ফেসবুক প্রোফাইলের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ডোমকল মহাকুমার অন্তর্গত ইসলামপুরের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে লাগাতার একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট করছে ওই যুবক। বেশিরভাগ পোস্টই হিন্দু বিদ্বেষমূলক। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছে ওই যুবক। গোয়েন্দাদের নজরে আসা একটি পোস্টে সে লিখেছে, ‘কাশ্মীরের মতো পশ্চিমবঙ্গেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ নিজেকে গাজায়তুল হিন্দের সদস্য বলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে আহ্বান করেছে সে। এমনকী মুর্শিদাবাদ ও মালদহ ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হোক বলেও একাধিক পোস্টে দাবি করেছে সে।

    জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের নজরে এসেছে, ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভুয়ো প্রোফাইল থেকে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গার নাম উল্লেখ করে নিজেদের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে দাবি করা হচ্ছে এবং সেখান থেকে ভারত-বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত প্রোফাইলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সবাইকে অনুরোধ, এই ধরনের কোনও বার্তা শেয়ার বা ফরওয়ার্ড করবেন না। করলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    তবে গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই যুবক বাংলাদেশে বসে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের ঠিকানা ব্যবহার করে একের পর এক বিদ্বেষমূলক প্রচার চালাচ্ছে। তার উদ্দেশ্য হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্ন হতে পারে, এমন কথা প্রচার করছে সে। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ইস্যুতে একের পর এক পোস্ট করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে শেয়ার হয়ে যাচ্ছে প্রচুর। সেগুলি চিহ্নিত করে সবার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা। 

    সামশেরগঞ্জ, ধূলিয়ান, সূতি ও রঘুনাথগঞ্জের ঘটনার পর পুলিস সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছে। সেই নজরদারির সময় বুধবার দুপুরেই মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের নজরে আসে ওই যুবকের প্রোফাইল। তারপর থেকে ওই যুবকের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিস কর্তারা। সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারীরাও ওই সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করতে থাকে। গত বছর এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়। একটি ছবি এবং ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে একটি ফেক প্রোফাইল খুলে কেউ একজন ফেসবুকে লাগাতার পোস্ট করছে বলেই মনে করছে পুলিস। তবে, ওই যুবকের মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়াতে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)