নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজের এমপি ল্যাডের টাকায় পুরো বহরমপুরকে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলতে চান সাংসদ ইউসুফ পাঠান। এদিন বেলডাঙায় চায়ের দোকানে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন ইউসুফ। দুপুরে বহরমপুরের মাইনরিটি ভবনে ইমাম-মোয়াজ্জিন ও পুরোহিত সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাংসদ একটি সম্প্রীতি বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি এই ঘোষণা করেন।
সামশেরগঞ্জে হিংসার ঘটনার পর বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রখ্যাত ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ান মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের এলাকায় পড়লেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বহরমপুরের সাংসদকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করা হয়। মুর্শিদাবাদে যখন আগুন জ্বলছে, তখন সাংসদ কোথায়-এই প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে ইউসুফের লোকসভা কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৫০কিলোমিটার। তবে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর ইউসুফকে নিজের এলাকাতেও খুব একটা দেখা যায় না বলে তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বেলডাঙার দক্ষিণ দেবকুণ্ড গ্রামে চায়ের দোকানে দেখা গেল সাংসদকে। সেখানে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে তৃণমূল ও তৃণমূল যুব কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতেন সাংসদ। স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার বিভিন্ন দাবি নিয়ে ইউসুফ আলোচনা করেন।
সাংসদ বলেন, এখানে সম্প্রীতির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা মেনে জীবনযাপন করতে হবে। বহরমপুর-মুর্শিদাবাদের যে সুনাম ছিল, তা আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয়দের বলব, সবাই নিজের চোখ-কানকে বিশ্বাস করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ছড়াচ্ছে, তা বিশ্বাস করবেন না। আমার তরফে আরও কী করা যায়, তা আমাকে বলুন। আমি পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার এমপি ল্যাডের তহবিল থেকে বহরমপুরের সমস্ত কোণায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে চাই। যাতে পুলিস সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারে। নিজস্ব চিত্র