৪১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জলের ব্যবস্থা করবে পঞ্চায়েত সমিতি
বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: গরম পড়তেই কান্দি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে গিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েলও অকেজো। অনেকক্ষেত্রে সাবমার্সিবল পাম্প থেকেও কম জল উঠছে। তার জেরে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের জলকষ্টে পড়তে হচ্ছে। ব্লকে ৪১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সমস্যা সবচেয়ে প্রকট। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতি আগামী ৩০দিনের মধ্যে ওই কেন্দ্রগুলিতে জলের ব্যবস্থা করতে চলেছে। প্রথম ধাপে এলাকার ১৭টি কেন্দ্রের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
কান্দি ব্লকে ২৫৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে ৪১টি কেন্দ্রে জলসঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। অনেকক্ষেত্রে ওই সমস্ত কেন্দ্রের কর্মীদের দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। কখনও কখনও ভ্যানভাড়া করে জল নিয়ে আসা হচ্ছে। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছে, এই সমস্যা মেটাতে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গোকর্ণ-২ পঞ্চায়েতের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, যে টিউবয়েল থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করা হতো, সেটি এখন একেবারে অকেজো।
এখন ভ্যানভাড়া করে দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। পুরন্দরপুরের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, ১০দিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় পড়েছি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা বাচ্চাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা না করা হলে সঙ্কট আরও বাড়বে। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতি ওই ৪১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আগামী ৩০দিনের মধ্যে জলের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে। ওই সমস্ত কেন্দ্রের আশপাশে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানের জলপ্রকল্প থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একটি করে জলের লাইন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে জলস্বপ্ন প্রকল্পের জন্য ছ’মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।
কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, আপাতত ১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জলের ব্যবস্থা করতে ৩লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও খুব তাড়াতাড়ি টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরু হবে। কান্দির বিডিও শ্রীকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ব্লকের বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জলের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মেটানো হবে।