নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভরা পর্যটন মরশুমে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। আগামী ৬ মাস ধরে এর প্রভাব থাকবে, এমনটাই মত ট্যুর অপারেটরদের। মঙ্গলবার ভূস্বর্গে জঙ্গীদের গুলিতে ২৭ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ক্রমাগত পর্যটকরা ট্যুর বাতিলের আবেদন জানাচ্ছেন। মোদ্দা ব্যাপার হল, আগামী তিন মাসের মধ্যেও কেউ যেতে চাইছেন না কাশ্মীর উপত্যকায়। তাই কবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্ত হবে, আবার নতুন করে কবে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠবে, সে ব্যাপারে চিন্তিত বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা।
বুধবার সকাল থেকে ফোন রাখার সময় পাচ্ছেন না পর্যটন সংস্থার কর্তারা। মে, জুন মাসে যাঁদের পহেলগাঁওয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা ট্যুর বাতিল করছেন। আদৌ কবে যেতে পারবেন, সেটা নিশ্চিত হয়ে বলতে না পারায় তাঁরা এখন অগ্রিম বাবদ জমা দেওয়া টাকা ফেরত চাইছেন। পর্যটন সংস্থার কর্তারা বলছেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আসছে, তাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই মুহূর্তে কেউ আর যেতে রাজি হচ্ছেন না।
ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কর্তা অনিল পাঞ্জাবি বলেন, আমাদের কাছে ট্যুর বাতিলের যে আবেদন আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আগামী তিন থেকে ছয় মাস কেউ পহেলগাঁও বা সংলগ্ন অঞ্চলে যেতে রাজি হচ্ছেন না। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটরসের কর্তা দেবজিৎ দত্ত বলেন, মঙ্গলবার ঘটনার দিনেই কাশ্মীরে পৌঁছেছেন কলকাতার এক বাসিন্দা। তিনি আমায় ফোন করে বললেন, দু’দিনের মধ্যে আমাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আবার পাঁচ-ছ জনের একটি পরিবার বুধবার সকালেই ফোন করে জানিয়ে দিলেন, তাঁরা মে মাসে কাশ্মীর ঘোরা বাতিল করছেন। বেঙ্গল ট্যুরিজম ফেস্টের অন্যতম আয়োজক সমর ঘোষ বলেন, কাশ্মীর ট্যুর বাতিল নিয়ে যেভাবে আমাদের কাছে আবেদন আসছে, তাতে আগামী দিনে বড়সড় ক্ষতি বলেই আমরা মনে করছি।
পর্যটন সংস্থার কর্তারা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটকদের কাছে অন্যতম গন্তব্য কাশ্মীর। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ডের প্রচুর পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিসরেও পর্যটন ব্যবসায় বড় ধাক্কা দিল।