নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ফের লুট সল্টলেকে। গত জানুয়ারি মাসেই এক চিকিৎসকের বাড়ির জানালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে অবাধে লুটপাট চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এবার মাঝরাতে তালা ভেঙে একটি বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ২০ লক্ষের টাকা বেশি লুট হয়েছে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি টোটোর সেন্সর বেজে উঠায় পাড়ার লোকজন বেরিয়ে পড়েছিলেন। তবে, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ট্রাফিক সিগন্যালে দেখতে পেয়ে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু, ‘পিস্তল’ উঁচিয়ে তারা চম্পট দেয়। যদিও সেটা আসলে পিস্তল, নাকি খেলনা, সেটা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিসের কাছে। বুধবার রাত দেড়টা থেকে ২টোর মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। জিসি ব্লকে রাস্তার ধারেই ১৮৪ নম্বর বাড়ি। দোতলা বাড়ির নীচের তলায় একটি অফিস রয়েছে। উপরে থাকেন বাড়ির মালিক। বর্তমানে তাঁরা বাড়িতে কেউ নেই। বিদেশে রয়েছেন। বাড়ির গ্যারাজের দিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকজন রয়েছেন। তাঁদের একজন রাতে বাড়ির পাশে রাস্তার ধারেই একটি টোটো রাখেন। তিনি বলেন, চুরি রুখতে আমার টোটোতে একটি সেন্সর বসানো আছে। হাত দিলেই বেজে উঠে। রাতে ওই টোটোর সেন্সর বাজতে শুরু করায় পাড়ার লোকজন বেরিয়ে আসেন। তাঁরা আমাদের ডাকেন। আমরা বেরিয়ে দেখি, নীচে যেখানে অফিস রয়েছে, সেদিকের গেটের তালা ভাঙা। পরে পুলিসও এসেছিল। দুষ্কৃতীরা অফিসে এবং বাড়ির দোতলায় লুটপাট করেছে।
জানা গিয়েছে, দু’টি বাইকে পাঁচজন এসেছিল। লুটপাটের পর তারা যখন পালাচ্ছিল, তখন এত রাতে তাদের যেতে দেখে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের সন্দেহ হয়। ওই দু’জন সিভিক তাদের থামানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু, পিছু ধাওয়া করতে গেলে দুষ্কৃতীরা ‘পিস্তল’ দেখায়। তারপর পালিয়ে যায়। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ওটা পিস্তল, না খেলনা– সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। রাতের অন্ধকার। তা অন্যকিছু হতেও পারে। হয়ত সিভিকদের ভয় দেখানোর জন্য কোনও কিছুকে পিস্তলের মতো উঁচিয়ে পালিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মূল চুরি হয়েছে ওই বাড়ির অফিস থেকেই। বাড়ির মালিকের কিছু রুপোর কয়েন ও জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।