চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার
আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে জানুয়ারিতে। মে মাসে ঢুকবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। কিন্তু এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে কোচবিহার জেলায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার বাড়ির মধ্যে লিনটন পর্যন্ত ঢালাই হয়েছে কেবল ৪৫ হাজার বাড়িতে। এই পরিস্থিতিতে আবাস যোজনায় উপভোক্তারা দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার যোগ্য হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আগামী মাসেই বাংলার বাড়ি বা আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য। তার আগে সমস্ত উপভোক্তাদের লিনটন পর্যন্ত ঢালাই বাধ্যতামূলক। জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলায় প্রায় ৬৮ হাজার বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানা হয়নি। ফলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এই মুহূর্তে পাবেন না তাঁরা।
সমস্যা সমাধানে একাধিক টিম নামিয়ে মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন দত্ত বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে সমস্ত বাড়ি তৈরি হয়, সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের দেখার জন্য বলা হয়েছে।’
কোচবিহার জেলায় আবাস যোজনার ১ লক্ষ ১৩ হাজার উপভোক্তাকে ঘর তৈরি করতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। মে মাসের প্রথম দিকে বাকি ৬০ হাজার টাকা করে তাঁদের দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে এখনও পর্যন্ত ৪৫ হাজার উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ লিনটন পর্যন্ত শেষ করেছেন। বাকি প্রায় ৬৮ হাজার উপভোক্তার কাজ এখনও হয়নি। তার মধ্যে আবার প্রায় ৩৫০ জন উপভোক্তা বাড়ি তৈরি শুরুই করেননি। ৩০০ জনের মতো উপভোক্তা সরঞ্জাম কিনলেও কাজ শুরু করেননি।
ফলে মে মাসে তাঁদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। হাতে রয়েছে কয়েকটা দিন। এই সময়ের মধ্যে লিনটন পর্যন্ত যাতে কাজ হয়, তার জন্য ছুটতে হচ্ছে সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্লক, আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে টিম করা হয়েছে। তাঁরা প্রতিদিনই নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন।
গত বছর আবাস যোজনার ঘর নিয়ে বহু গ্রাম পঞ্চায়েতে অশান্তি, ভাঙচুর, ঝামেলা হয়েছে। প্রকৃত বহু গরিব মানুষ ঘর পাননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, টাকা পাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের কাজ ঠিক মতো করেননি।