এই সময়: ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা, এখনও তার হিসেব করে উঠতে পারেননি বাংলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে মঙ্গলবার পহেলগাম নরমেধযজ্ঞের পরের ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ সারা বাংলা থেকে কাশ্মীর বেড়ানোর অন্তত ১৫ হাজার বুকিং বাতিল করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
এর ফলে একদিনেই বাংলার ব্যবসায়ীদের সবমিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সেই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু মানুষের ফ্লাইটের টিকিট কাটা। হোটেল ও গাড়ি বুকিংয়ের ১০০ শতাংশ দেওয়া। কী ভাবে ফেরত আসবে সেই টাকা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে।
কাশ্মীরে এর আগে কট্টরপন্থী আক্রমণে নিরীহ পর্যটকদের টার্গেট করার ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। মঙ্গলবারের মতো দাঁড় করিয়ে এমন নৃশংস হত্যার ঘটনা তো ঘটেইনি। গত চার–পাঁচ বছর ধরে ভূস্বর্গের পর্যটন ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। মূলত সেই ব্যবসার মূলে কুঠারাঘাত করতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ফলও হয়েছে তাই।
সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে পর্যটনের উপরেই। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতা শহরে মোমবাতি মিছিল করলেন পর্যটন ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের হাতে ধরা পোস্টার–ব্যানারে ছিল সন্ত্রাস বিরোধিতার ডাক।
মৌলালি থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (টাই), ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (টাফি), ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (ট্যাব), ট্যুরিজ়ম ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স (টিয়া) এবং অন্য আরও সংগঠনের সদস্যরা।
চরম আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যেও কলকাতার এই পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে আবেদন করেছেন, বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাশ্মীরকে যেন তাঁরা তাঁদের তালিকা থেকে বাদ না দেন। কয়েকদিনের মধ্যেই কাশ্মীর ফের আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং পর্যটকরা ফের কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার উপভোগ করতে পারবেন — এমনটাই আশ্বাস পর্যটন ব্যবসায়ীদের।