এই সময়: তাপপ্রবাহের আবহেই বজ্র–বিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গে টানা চারদিন তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস জারির পরেই শনিবার রাত থেকে আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের কথা শোনাল হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। উত্তরবঙ্গের মালদাও তাপপ্রবাহে পড়েছে। কোনও জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অন্তত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৪.৫ ডিগ্রি উপরে থাকলে তবেই তাকে ‘তাপপ্রবাহ’ বলা হয়।
সেই হিসেবে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রিতে আটকে যাওয়ার জন্য পুরুলিয়া শহর এবং হুগলির মগরায় ‘তাপপ্রবাহ’ ঘোষণা করা যায়নি। বুধের পরে বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা প্রায় একই রকম থাকল। তবে এরই মধ্যেই আবহবিদরা শোনালেন পরিস্থিতি বদলের কথা।
ক্রমশ চড়তে থাকা তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতাজনিত চরম অস্বস্তিতে গত কয়েকদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। আবহববিদরা জানাচ্ছেন, একদিকে দেশের উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা গরম এবং শুকনো বাতাসের ঠেলায় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেরও ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
ভয়াবহ তাপপ্রবাহে ঝলসাতে শুরু করেছে ওডিশাও। দক্ষিণবঙ্গের বাতাসে উপস্থিত জলীয় বাষ্প এই অঞ্চলের অবস্থা আরও অসহনীয় করে তুলেছে। কিন্তু শনিবার রাত থেকেই বাতাসের প্রবাহে বদল আসতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে।
আবহবিদরা বলছেন, ‘২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া এবং সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি।’
বুধের মতো বৃহস্পতিবারও রাজ্যের কয়েকটি জায়গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ছিল। তবে, বুধবার পারা যে উচ্চতার উঠেছিল, বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা তার চেয়ে কিছুটা কমই ছিল। বুধবার ৪৪.৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়া কলাইকুণ্ডা বৃহস্পতিবার (৪১.৫) তুলনায় ‘শীতল’–ই ছিল।