• স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে, তারপরই খুন! বাগুইআটি ট্রলিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
    প্রতিদিন | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • বিধান নস্কর, দমদম: বাগুইআটি ট্রলিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে নাকি প্রেমিকের কাছে বারাসতে এসেছিলেন মৃত তরুণী। সেখানেই থাকতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে যুগলের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, ঝামেলা-মারধরের পর প্রেমিকার হাতেই খুন হন তরুণী। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহটি ট্রলিকে ভরে ফেলে এসেছিল ‘গুণধর’। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। এবার পুলিশের জালে অভিযুক্ত।

    ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। ওইদিন বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে জঞ্জালঘেরা একটি পরিত্যক্ত এলাকায় কালো রঙের ট্রলিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। বাগুইআটি থানার পুলিশ গিয়ে ট্রলি খুলে দেখতে পায়, ভিতরে এক যুবতীর দেহ। তার মুখে বাদামি রঙের সেলোটেপ। এরপরই তদন্তে নামে তাঁরা। তিনদিন পর রহস্যভেদ। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম রিয়া ধর। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্বামী-সন্তান নিয়ে কাটছিল সংসার। সোশাল মিডিয়ায় বারাসতের বাসিন্দা কৌশিকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, একটা সময়ে সংসার ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে আসেন রিয়া। বারাসতের একটি আবাসনে থাকতেন যুগল। দ্রুতই সম্পর্কের অবনতি হয়। অভিযোগ, বচসার মাঝেই প্রেমিকাকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে কৌশিক। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ ট্রলিতে ভরে। কিন্তু কাছাকাছি ফেললে ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই কারণেই বারাসত থেকে অ্যাপ ক্যাবে বাগুইআটি যায় যুবক। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে দেশবন্ধুনগর ধান মাঠে সংকীর্ণ নর্দমায় ফেলে দেয় ট্রলিব্যাগটি। এদিকে স্ত্রী বেপাত্তা হওয়ার পরই মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতার স্বামী। ট্রলিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ক্যাবচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে কৌশিকের হদিশ পান তদন্তকারীরা। তাঁকে জেরা করতেই গোটা বিষয়টা সামনে এসেছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, আর কেউ জড়িত কিনা, সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)