পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে বড় পদক্ষেপ করতে পারে নয়াদিল্লি। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে উত্তরবঙ্গের আকাশে দাপিয়ে বেড়াল রাফাল যুদ্ধবিমান। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পর পর দুটি রাফাল উড়ে যায়। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এটি রুটিন সামরিক মহড়া, এর সঙ্গে ‘প্রত্যাঘাত’-এর কোনও সম্পর্ক নেই। বায়ুসেনার তরফে এই বৃহৎ সামরিক মহড়ার নামকরণ করা হয়েছে ‘আক্রমণ’। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও হরিয়ানার আম্বালা এয়ারবেস থেকে দেখা গিয়েছে রাফাল, সুখোই উড়ে যেতে।
প্রসঙ্গত, বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে, একটি পাঞ্জাবের আম্বালায় এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমানগুলির মাধ্যমে জটিল অভিযান যেমন স্থলভাগে আক্রমণ এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ড্রিল সম্ভব। সমতল এবং পাহাড়ি, উভয় ভূখণ্ডেই স্থল আক্রমণের মিশনকে মাথা রেখেই বায়ুসেনা এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকাল হতেই ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলির খবর আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একাধিক স্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিক থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এর পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। শুক্রবার কাশ্মীরের বান্দিপোরায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার আলতাফ লাল্লির।