• দিঘা স্পর্শ করে দুই বাস রুটের উদ্বোধন পরিবহনমন্ত্রীর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর আগে আরও একবার গুরুত্ব আরোপ করা হল রাজ্যের পরিবহন দপ্তরে, সৈকত শহর দিঘাকে স্পর্শ করে চালু হল দুই নতুন বাস রুট। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর তৎপরতায় এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে বহরমপুর ভায়া ডানলপ, বারাসত, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর এবং দিঘা থেকে তারাপীঠ ভায়া বর্ধমান ও কুলি রুটে নতুন বাস পরিষেবার প্রতীকী শুভ সূচনা হল। সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রতীকী বাসের মাধ্যমে এদিন বাস রুটের সূচনা করলেন পরিবহনমন্ত্রী।

    সেই সঙ্গে এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, দিঘা বাংলার এক অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর এর বাণিজ্যিক এবং ব্যবসায়িক গুরুত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা ব্যাপক। সৈকত শহরের পাশাপাশি তীর্থক্ষেত্রের তকমাও পাবে দিঘা। এমতবস্থায়, দিঘা পৌঁছনোর যাত্রাপথ গুলিকে ঢেলে সাজাতে চাইছে পরিবহন দপ্তর। সেই লক্ষ্যেই দিঘাকে স্পর্শ করে দুই বাস রুটের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল এদিন।

    বাস সার্ভিসের সূচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১০টি সরকারী বাস সার্ভিস চালু রয়েছে দিঘায়। আগামী ৩০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে নির্মিত জগন্নাথ ধামের শুভ উদ্বোধনের আগে দিঘা-তারাপীঠ এবং দিঘা-বহরমপুর এই দুটো নতুন বাস সার্ভিসের সূচনা হল। প্রচুর মানুষ এই জগন্নাথ ধামে আসবেন তাই বাড়তি চাপ এড়াতে এবং পর্যটকদের সুবিদার্থে এই উদ্যোগ।’ সম্প্রতি কলকাতা-করিমপুর নতুন বাস রুটের উদ্বোধন করেছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। সুভাষ মন্ডল জানিয়েছিলেন, ‘জনস্বার্থে এই দপ্তর নতুন ১০০-১৫০টি বাস কিনছে, যা পাবে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন নিগম থেকে ডবলিউবিটিসি।

    দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন নিগম প্রায় ৪০০-৪৫০টি গাড়ি চালাচ্ছে বর্তমানে, চলতি বছরেই তা বাড়িয়ে ৫০০-র অধিক করা হবে।’ এরপরই আরও দুটি নতুন বাস রুটের সূচনা হল। মন্ত্রীর ভাষায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং পরিবহন দপ্তরের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ এই দপ্তরের কাজ প্রশংসিত। যাত্রীদের সুরক্ষিত ভাবে সঠিক সময়ে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া এই দপ্তরের নৈতিক দায়িত্ব, যা সংশ্লিষ্ট দপ্তর পালন করছে অক্ষরে অক্ষরে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, স্বল্প খরচে জনপরিষেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় রাখা।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)