গত বছর বন্যার জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল শিলাবতী নদীর দু’টি কাঠের সেতু। বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পরেও সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ বারে সেতু সংস্কারে কাজে হাত লাগালেন গ্রামবাসীরাই।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা এলাকার কাঠের সেতু দীর্ঘদিন বেহাল। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছিল পারাপার। এই সেতু ব্যবহার করেন আশপাশের ৮-১০টি গ্রামের লোকজন। প্রশাসনকে জানানো হলেও সমাধান না হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে দড়ি, বাঁশ নিয়ে সেতু সংস্কারের কাজে নেমে পড়লেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় নিজেরাই টাকা তুলে শুরু করেছেন সেতু মেরামতের কাজ। ঘোষকিরা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, শিলাবতী নদীর অন্য প্রান্তে রয়েছে হাটবাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল।
নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য নদী পেরিয়ে যাতাযাত করতেই হয়। এই বেহাল সেতু দিয়ে কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছিল। এমনকি মুমূর্ষু রোগীকেও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতো এই ভাঙা সেতু দিয়েই। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হচ্ছিল না।
শুক্রবার দুপুরের মধ্যে বেহাল সেতুর অনেকখানিই সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের সেতু মেরামতের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ বলেন, ‘ওই এলাকায় দু’টি কাঠের সেতু মেরামতের প্রস্তাব জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। টাকা এলেই কাজ শুরু হবে। তবে, এর আগে একাধিকবার ওই সেতু গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মেরামত করা হয়েছে। এ বার গ্রামবাসীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’