কাশ্মীরের উধমপুরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ ঝন্টু আলি শেখের শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক প্রকাশের সঙ্গে দিলেন যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস।
পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরই কাশ্মীরের জায়গায় জায়গায় শুরু হয় সেনা অভিযান। সে সময় কাশ্মীরের উধমপুরে সেনার সঙ্গে মুখোমুখি গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের। সেই গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন নদিয়ার পাথরঘাটার বাসিন্দা ঝন্টু শেখ। গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ঝন্টু। তাঁর বড় দাদাও সেনায় কর্মরত। বছর ছত্রিশের এই যুবক ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ প্যারাস্যুট, স্পেশাল ফোর্সের সদস্য ছিল। প্রায় ১০ বছর ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন ঝন্টু। আগ্রাতেই স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। স্পেশাল অপারেশনের জন্য কাশ্মীরে পাঠানো হয় ঝন্টুকে। কিন্তু, সেখান থেকে এভাবে কফিন বন্দি হয়ে বাড়িতে ফিরবেন তা কেউ কল্পনাও করেননি।
ঝন্টুর শহিদ হওয়ার খবর গ্রামে পৌঁছনোর পর থেকে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া। শহিদের বাবা সবুর শেখই জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। শহিদের বাবা জানান, এরই মধ্যেই ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন ঝন্টু। মার্চ মাসে ফের ডিউটিতে যোগ দেন। কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন আগ্রাতে। মাঝেমধ্যে ফোন মারফত কথা হতো। কিন্তু কাজের প্রচুর চাপ থাকায় গত কয়েকদিন ঠিকমতো বাড়িতে ফোনও করতে পারেননি তিনি। তার পরই অভিশপ্ত ফোনে এল তাঁর শহিদ হওয়ার খবর।