• ‘রোগী ধরে আনতে না পারায় সাসপেন্ড!’ পলিটেকনিক কলেজের কর্ণধারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অধ্যাপকের
    এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ‘রোগী ধরে আনতে না পারলেই সাসপেন্ড’, এমনই নাকি নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক এবং শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের কর্ণধার মলয় পিট। এই অভিযোগ করেছেন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক-এর এক লেকচারার। অভিযোগকারীর নাম সূর্যকান্ত সোম। তাঁর অভিযোগ, কর্ণধারের দাবি মতো রোগী ভর্তি না করাতে পারায় সাসপেনশনের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। শুধু তাই নয়, লেকচারারের দাবি, তাঁর মতো আরও ১১ জনের নাম এই একই কারণে রয়েছে কলেজের সাসপেনশনের তালিকায়। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর লেকচারার সূর্যকান্তি সোম বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্রের অন্তর্গত যে মেডিকেল কলেজ রয়েছে, সেখানে একটা করে রোগী ভর্তি করার কথা আমাদের প্রত্যেককেই বলা হয়েছে । এই নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের রেজিস্টার স্যার এবং প্রেসিডেন্ট স্যার মলয় পিট। আমাদেরকে বলা হয়েছে পেশেন্ট ভর্তি করাতে না পারলে আমাদের ছাড়িয়ে দেওয়া হবে। শুধু আমি নয় মোট ১১ জনের সঙ্গে এই জিনিস হয়েছে তবে সকলে মুখ খুলতে পারছে না।’

    লেকচারার সূর্যশেখরের অভিযোগের জবাবে শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক এবং শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের কর্ণধার মলয় পিট দাবি করেছেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রোগী ভর্তি করার বিষয়ে বলা হয়েছিল, যারা গরিব, অর্থনৈতিক ভাবে অসহায় তাঁদের একজন করে আমরা আমরা আইপিডিতে ভর্তি করব। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে, নিজেদের সংস্থাকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে এ পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন ভুল থাকতে পারে। আইনের মারপ্যাঁচ থাকতে পারে কারও আলাদা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাই কে কী বলছে তাতে কিছু যায় আসে না। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

    এই বিষয়ে লেকচারারকে বরখাস্ত করার বিষয়টিকেও মলয় পীঠ ভুয়ো বলে দাবি করেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সূর্যকান্তি সোম।

  • Link to this news (এই সময়)