সংবাদদাতা, পতিরাম: দুই দশক পর সার্কাস বালুরঘাটে। ছোটবেলার স্মৃতিকে আরও সতেজ করে নিতে তাই বালুরঘাট হাইস্কুলের পুরাতন ময়দানে আসা বছর বত্রিশের রিপন কুণ্ডুর। কারণ, সেই ছোট্টবেলায় বাবার হাত ধরে সার্কাস দেখা। কুড়ি বছরে আর সার্কাস দেখেননি। বালুরঘাটে সার্কাস আসছে শুনেই শুক্রবার তাই হাজির সার্কাসের ময়দানে। সার্কাস উদ্বোধনের প্রথমদিনেই প্রবল উৎসাহ দেখা গেল বালুরঘাট শহরে। প্রথম দিনেই কয়েকশো মানুষ সার্কাস দেখতে হাজির হন।
এই প্রথম বালুরঘাট শহরে পশু,পাখি ছাড়াই সার্কাস হচ্ছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বন্য আইন অনুযায়ী সব সার্কাসেই পশুপাখি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখন মানুষেরাই সার্কাস দেখান। মানুষ আনন্দ উপভোগ করেন।
সার্কাসের যুগ্ম ম্যানেজার সজল মুখোপাধ্যায় ও মোল্লা সাদ্দেক রহমান (হ্যাপী) বলেন, বালুরঘাটের মানুষ সার্কাসপ্রেমী। আমরা শেষবার ১৯৯৯ সালে এসেছিলাম সার্কাস নিয়ে। মাঝে সার্কাসে বন্যপ্রাণী নিষেধ হওয়ায় কিছুটা জনপ্রিয়তা কমেছে। আর্টিস্ট জোগাড় করতেও আমাদের হিমশিম খেতে হয়। অবশেষে আমরা আর্টিস্টদের সঙ্গে পেয়েছি। এই প্রথম আমরা আফ্রিকানদের নিয়ে বালুরঘাটে এসেছি। নানা ধরনের আকর্ষণীয় খেলা রয়েছে। আশা করছি, সকলের ভালো লাগবে।
জানা গিয়েছে, পশুপাখিদের খেলা না থাকলেও রয়েছে জিমন্যাস্টিক্স, মেয়েদের ফায়ার ডান্স, সাইকেল আরোহীদের খেলা, রিং ড্যান্স, রিং গার্ল খেলা। লোহার খাঁচায় মোটরসাইকেল খেলা। এমনকী অসমের ‘অনিল’ নামে আড়াই ফুট জোকারের উপস্থিতি। সার্কাস দেখার পর তাঁবু থেকে বেরিয়ে খুশি বালুরঘাটের রিপন কুণ্ডু ও মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। রিপনের কথায়, এখন অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। তবে এই সার্কাসও ভালো লেগেছে।