• পিএইচই’র জল সরবরাহ নেই, পথে নেমে প্রতিবাদ মহিলাদের
    বর্তমান | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল:  জলকষ্টে কেটে গিয়েছে মাস ছয়েক। বৈশাখের চাঁদিফাটা রোদে হাঁসফাস অবস্থায় এবার জলের দাবিতে পথে নামলেন এলাকার মহিলারা। রাস্তায় বালতি, কলসি রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। শুক্রবার চাঁচল-২ ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরকপুর গ্রামের এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্যের আশ্বাসে একঘণ্টা পর বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন মহিলারা।

    প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় জল সঙ্কট মেটাতে ২০১৬ সালে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। বাড়ি বাড়ি পাইপ লাগিয়ে জলের সংযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ, প্রায় ছ’মাস ধরে গৌরকপুর গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।  এলাকায় সরকারি সাবমার্সিবল থাকলেও বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। সারানোর কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। পিএইচই’র জল সরবরাহ পরিসেবা স্বাভাবিক হলে সমস্যা মিটবে বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। তবে দপ্তর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা। স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য রেহেনা পারভিন গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কেন জল আসছে না দেখার জন্য পিএইচই দপ্তরে জানিয়েছি। বিকল সাবমার্সিবল মেরামত করার জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করছি। বিক্ষোভকারী নূরজাহান বিবি ও মহসিনা খাতুনের অভিযোগ, ছ’মাস ধরে কলে জল আসছে না। এক বালতি জলের জন্য অন্যের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। বেলেনুর বিবির কথায়, জল না আসায় অনেকের ট্যাপকল নষ্ট হয়েছে। দ্রুত জল  না মিললে ফের আন্দোলনে নামব। এপ্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের চাঁচল মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষ বলেন, জল প্রকল্পের বিকল পাম্প নতুন করে লাগানো হলেও কিছু জায়গায় পাইপ ফুটো থাকায় এই সমস্যা। মেরামতের কাজ চলছে। শনিবারই এলাকায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)