• টিআইসিকে বলেও মেলেনি ফ্যান, কমনরুমে পড়ুয়াদের এনে ক্লাস নিলেন শিক্ষকরা
    বর্তমান | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা,ময়নাগুড়ি: বৈশাখের তীব্র গরম। অথচ, ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত ফ্যান টুকুও নেই। পড়ুয়াদের কষ্ট হলেও হেলদোল নেই টিআইসি’র। এই অবস্থায় টিআইসির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির দিকে রওনা হতে চেয়েছিল নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। তড়িঘড়ি অন্য শিক্ষকরা তাদের পথ আটকে নিয়ে ফিরিয়ে আনেন টিচার্স কমনরুমে। আর সেখানেই চলল ক্লাস। শুক্রবার এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় ময়নাগুড়ির ভূষ্কাডাঙ্গা শ্রীশ্রী নিগমানন্দ আদর্শ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে। টিআইসি দেবাশিস রায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। পড়ুয়াদের পাশাপাশি তাঁরাও ক্ষুব্ধ। শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুলে পর্যাপ্ত ফ্যান না থাকায় সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। ডিআই জলপাইগুড়ি বালিকা গোলে বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। 

    একাধিক ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ, শ্রেণিকক্ষে ফ্যান না থাকায় তারা সমস্যায় পড়েছে। টিআইসিকে জানাতে গেলে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমনকি জানিয়ে দিচ্ছেন, ফ্যান লাগানোর মতো গরম এখনও পড়েনি। স্কুলের শৌচালয়গুলির অবস্থা বেহাল। শ্রেণিকক্ষের ভেতর ওয়ারিংয়ের তার যত্রতত্র ঝুলে রয়েছে। যে কোনও  বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। 

    স্কুলের শিক্ষক শুভজিৎ রায় বলেন, আমি ক্লাস নিতে এসে দেখি নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা ঘরে নেই। সেই সময় সন্দেহ জাগে। দেখলাম, তারা স্কুল থেকে চলে যাচ্ছে। পরে জানতে পারলাম, গরমের জন্য তারা ক্লাস না করতে পারছে না। এরপর আমরা শিক্ষকরা তাদের নিয়ে আসি। আমাদের টিচার্স কমনরুমে বসিয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু করি। আমরা ফ্যানের নীচে থাকব অথচ ছোটরা গরমে থাকবে, এটা সহ্য হয় না। 

    অপর শিক্ষক অর্ণব ঘোষ বলেন, ছাত্ররা ফ্যানের বিষয়ে টিআইসিকে জানিয়েছিল। ওদের সঙ্গে নাকি খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণেই তারা স্কুল থেকে চলে যাচ্ছিল। টিআইসি স্কুলের বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দেয় না।  মানবিকতা বলে একটা বিষয় রয়েছে। 

    টিআইসি দেবাশিস রায় বলেন, ওরা গুরুত্বহীন অভিযোগ করছে। স্কুলের কিছু ফ্যান খারাপ হয়েছে। সেগুলি মেরামত করতে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)