• রানাঘাটের কনভেন্ট স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
    বর্তমান | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: প্রতিবছর অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হচ্ছে স্কুলের ফি। কোনও কারণ ছাড়াই বদলে ফেলা হচ্ছে স্কুলের ড্রেসও। এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেও নতুন করে গুনতে হচ্ছে অ্যাডমিশন ফি। অথচ, স্কুলটি মিশনারি! সেখানে ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠিয়ে এখন নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় অভিভাবকদের। খরচের বাড়তি বোঝা চাপছে তাঁদের উপর। প্রতিবাদে শুক্রবার রানাঘাটের একটি নামজাদা কনভেন্ট স্কুলে প্রিন্সিপালের ঘর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তা নিয়ে খানিক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সংবাদ মাধ্যমকে বাধা দেন স্কুলের এক কর্মী। সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। 

    শহরের উপকণ্ঠে মিশন রোড রেলগেটের কাছে রয়েছে কনভেন্ট স্কুলটি। শহর ছাড়াও  আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হয় এই স্কুলে। এদিন, একাধিক অভিযোগ তুলে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর অকারণে অস্বাভাবিক হারে স্কুলের ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে কোনও পড়ুয়া প্রথম শ্রেণিতে উঠলে নতুন করে ভর্তির খরচ আদায় করা হচ্ছে। প্রতিবছর স্কুলের ড্রেস বদলে দেওয়া হচ্ছে। যাতে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উঠলেই নতুন পোশাক কিনতে হয়। খরচের এই গুঁতো সামলাতে না পেরে বিক্ষোভের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অর্পিতা পাল বলেন, ‘আমরা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার। এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। তারউপর স্কুলের অকারণ ফি বৃদ্ধি ও পোশাক বদলের চাপে আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। মিশনারি স্কুলে পড়িয়েও পড়াশোনার খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি।’ সেই সঙ্গে অর্পিতাদেবীর সংযোজন, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সময় ২ হাজার ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই খরচ থাকবে। অথচ বাস্তবে প্রতি বছর মাস মাইনে চার থেকে পাঁচশো টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভে শামিল সুপর্ণা চক্রবর্তীও বলছিলেন, ‘নতুন পোশাকের বরাত যাতে প্রতি বছর দিতে হয়, তাই এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উঠলেই পোশাকের রং বদলে ফেলা হচ্ছে। সমস্যার কথা এর আগেও স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারংবার জানিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’ বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একাংশ বলেন, কেন্দ্রের শিক্ষানীতি অনুযায়ী ছাত্রপিছু যতজন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকার প্রয়োজন তা দিল্লি বোর্ডের এই স্কুল মানছে না। অথচ, নিয়মিত বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনও ত্রুটি রাখছে না কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা স্কুলের প্রিন্সিপাল সিস্টার জ্যানেথ কোট্টামকমপিলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁর ঘরে ঢুকতে বাধা দেন সুজয় বিশ্বাস নামে স্কুলের এক কর্মী। সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার শুরু করেন। কাজে বাধা দেন। হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে নদীয়া জেলার এডুকেশন অফিসার রাজীব পান্ডে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। রানাঘাটের ওই স্কুলে কী ঘটেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।
  • Link to this news (বর্তমান)