• বাসিন্দাদের দাবি মেনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে নিকাশি নালা তৈরির কাজ, বর্ষায় মিলবে স্বস্তি
    বর্তমান | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ পুর এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে নিকাশি নালা। এই কাজ শেষ হলে পুরসভার প্রতাপনগরের বড় প্লট, বিন্দুনাথপুর, দেবরাজপুর, মহাপ্রভু কলোনি সহ আশপাশ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন।  এতদিন নিকাশি নালা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমে যেত জল। এমনকী গৃহস্থের বাড়ির ব্যবহৃত জলও বেরতে পারত না। বেশির ভাগ বাড়িতেই গর্ত করে গৃহস্থালির ব্যবহৃত জল ফেলতেন। এবার ওইসব এলাকায় পুরসভা থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচে নিকাশি নালার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। ফলে এবারের বর্ষায় বাসিন্দাদের স্বস্তি মিলবে। নবদ্বীপ পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ঝন্টুলাল দাস বলেন, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকায় কোনও নিকাশি ব্যবস্থা ছিল না। এই এলাকাটা নিচু হওয়ায় বর্ষার সময় প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস জল জমে থাকত। জল পচে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হতো। সেই জল পেরিয়ে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতেন। প্রতাপনগর বড় প্লট, বিন্দুনাথপুর হয়ে দেবরাজপুর, মহাপ্রভু কলোনি হয়ে কল্পতরু স্কুলের পাশ দিয়ে পার্শ্ববর্তী ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মতি সাহার মাঠের পাশ দিয়েই জল বের হবে। ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নিকাশি নর্দমার। এর মধ্যে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নিকাশি নালার কাজ এক সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছে। বর্ষার আগে এই কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বড় প্লটের বাসিন্দা তারক পাল বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই এই এলাকাতে জল জমে যেত। সেই জল বের হতে এক থেকে দেড় মাস লেগে যেত। এমনকী পচে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হতো। জমা জল বের করতে মাঝেমধ্যেই মোটর বসিয়ে জল ফেলতে হতো। এই প্রথম এলাকাজুড়ে স্থায়ী ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতাপনগর বড় প্লটের বাসিন্দা স্থানীয় দুই গৃহবধূ তাপসী দেবনাথ ও রিনা বিশ্বাস বলেন, অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যেত। বেরনোর কোনও জায়গা ছিল না। তাতে পথচারীদের যাতায়াতে সমস্যা হতো। জমা জলের কারণে এলাকায় মশার উৎপাত বেড়ে গিয়েছিল। এখন নিকাশি নালা তৈরি হলে সকলেই সেই জল যন্ত্রণা থেকে বাঁচবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)