নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে সুপার নিউমেরারি পোস্ট বৈধ। তা সত্ত্বেও ২০১৬-র উচ্চ মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা সংক্রান্ত মামলার জট কাটল না হাইকোর্টে। তারই জেরে শুক্রবার আদালত চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চাকরিপ্রার্থীদের নিশানায় পড়তে হয়েছে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও তাঁর জুনিয়র আইনজীবীদের। ক্ষোভের নিশানায় বাদ যাননি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও। এদিন দীর্ঘক্ষণ কিরণ শঙ্কর রায় রোডে ফিরদৌস শামিম, সুদীপ্ত দাশগুপ্তদের চেম্বারের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৬-র উচ্চ মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ। যাতে ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে রাজ্য। রাজ্যের এই অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ২০২৩-এর এপ্রিলে এই শূন্যপদে নিয়োগের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি, মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এদিন বিচারপতি বসুর এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তুলে ধরে রাজ্যের দাবি, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ বৈধ। ফলে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগে কোনও বাধা নেই। কিন্তু রাজ্যকে এবিষয়ে লিখিত আবেদন করার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি বসুর বক্তব্য, মৌখিকভাবে নয়, সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য রাজ্যকে লিখিত আকারে দিয়ে আবেদন করতে হবে। এরপরই আদালত চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ ৬১টি শুনানির পরও কেন তাঁদের এভাবে বঞ্চিত হতে হবে। ৬ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।