• বিচারে গতি আনতে পদক্ষেপ, সাক্ষী তালিকা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • বিচারব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বহু মামলা রয়েছে যেগুলি বছরের পর বছর ধরে চলছে। এরফলে মামলার পাহাড় জমছে আদালতগুলিতে। অনেক মামলাতেই বিচার পেতে পেরিয়ে যায় কয়েক দশক। আবার দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার ফলে বহু ক্ষেত্রে সাক্ষীরও মৃত্যু হয়। দীর্ঘসূত্রতার ফলে।অনেক ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক গলে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত। এমন অবস্থায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে সাক্ষী তালিকা নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। চার্জশিটে সাক্ষী তালিকা নিয়ে একটি গাইডলাইন চালু করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তাতে কাদের সাক্ষী তালিকায় রাখা উচিত বা রাখা যাবে না সে বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।


    লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এই গাইডলাইন চালু করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। তাতে বলা হয়েছে, অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের সাক্ষী তালিকায় রাখা যাবে না। সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী নয়, এমন ব্যক্তিদের সাক্ষী তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া, চার্জশিট পেশের আগে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বা ডিসিরা ভালো করে সাক্ষীর তালিকা খতিয়ে দেখবেন। এরপর আদালতে চার্জশিট পেশ করতে হবে।

    লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এরকম বহু মামলা রয়েছে যেগুলিতে সাক্ষীর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে মামলার দীর্ঘসূত্রতা বেড়েছে, অথবা অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গিয়েছেন। যেমন একবালপুরে মা ও দুই মেয়ে খুনের মূল অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন, ২০১১ সালে বালিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলাতেও অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন, আবার লেক থানা এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনাতেও অভিযুক্ত জানেন পেয়েছেন। এই সমস্ত কারণে এই গাইডলাইন জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার।

    এবিষয়ে আধিকারিকদের বক্তব্য, কোনও মামলায় যদি একজন সাক্ষী থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। কারণ সাক্ষীর বয়ান বদলের সম্ভাবনা থাকে। আবার একটি মামলায় অনেক সাক্ষী থাকলেও সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন শুনানির ফলে মামলার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই সাক্ষীর মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, আমেরিকান সেন্টারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪০০ জনের বেশি সাক্ষী রয়েছে। আবার রশিদ খানের বউবাজার বিস্ফোরণের মামলায় ২৫০ জনের নাম রয়েছে সাক্ষী তালিকায়। কলকাতা পুলিশের অনেক তদন্তকারী অফিসারদের অনেকের দাবি, এটা ভালো পদক্ষেপ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)