দাদার কাঁধে চেপে তেহট্টের গ্রামে ফিরল শহিদ ঝন্টুর দেহ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
দাদাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাইও যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনী। দেশের জন্য প্রাণ দিলেন ভাই। আর দাদার কাঁধে চেপেই ফিরলেন গ্রামের বাড়ি। চোখের জলে শহিদ ঝন্টুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল তেহট্টবাসী। শনিবার সকালে নদিয়ার বাড়িতে পৌঁছয় উধমপুরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের দেহ।
তেহট্টের পাথরঘাটার বাড়িতে ভোর থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় ইদগাহ ময়দানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। চোখের জল মুছে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের উদ্দেশে সদ্য স্বামীহারা স্ত্রী ঝুমা বলেন, ‘আমরাও মুসলিম। কিন্তু ওদের (পাকিস্তান) মনে বিদ্বেষ। ওরা মুসলিম নয়। এর বদলা চাই। না হলে আরও বাচ্চা বাবাহারা হবে!’
জম্মুর মিলিটারি হাসপাতালে গান স্যালুটে কুর্নিশ জানানোর পর শুক্রবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয় ঝন্টুর কফিনবন্দি দেহ। রাতে ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে আনা হয় মরদেহ। শনিবার সকালে সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়ার পর সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তেহট্টর পাথরঘাটা গ্রামে পৌঁছয় তাঁর দেহ।
৬ প্যারা এসএফ-এ কর্মরত ছিলেন ঝন্টু। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পরপরই উধমপুরে সেনা এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে ঝন্টুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ঝন্টুর দাদা নাজিম শেখকে তিনি পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তাঁদের কথা হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গেও।
শোকসন্তপ্ত গ্রামবাসীরা জানান, আগে আগ্রায় পোস্টিং ছিল ঝন্টুর। দেড় বছর আগে কাশ্মীরে পোস্টিং হয় তাঁর। ঝন্টুর দাদাও রয়েছেন কাশ্মীরের সেনাবাহিনীতে। মাস খানেক আগে শেষবার গ্রামে এসেছিলেন ঝন্টু। ঝন্টুর স্ত্রী ঝুমা এবং তাঁদের দুই সন্তান তনভির এবং রেহানা আগরার সেনা ক্যান্টনমেন্টে থাকেন। তাঁরা তেহট্টের বাড়িতে এসেছেন।