স্টাফ রিপোর্টার: অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সনাতনী হিন্দুদের বাড়ির ছাদে বাসন্তী রঙের ধ্বজা ওড়ানোর আহ্বান রাখল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতনী ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট। প্রতিটি ঘরে বাজবে মঙ্গলশাঁখ। মন্দির উদ্বোধনের পরই শহরে পুরোহিতদের নিয়ে মহাসম্মেলন করবে এই ট্রাস্ট। ওই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন উপলক্ষে প্রচারে নেমেছে সনাতনী ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট। বস্তুত দিঘায় অনুপম শিল্পকার্যে তৈরি মন্দির নিয়ে তৈরি হয়েছে ধর্মীয় উন্মাদনা।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতনী ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সভাপতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় সকল সনাতনী হিন্দুরা টিভির পর্দার সামনে থাকবেন। সব বাড়িতে মঙ্গলশাঁখ বাজাতে হবে। সেদিন প্রত্যেকেরে বাড়ির ছাদে বাসন্তী রঙের ধ্বজা যেন ওড়ানো হয়।” সরাসরি দিঘা থেকে প্রাণ প্রতিষ্ঠার লাইভ সম্প্রচার করা হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার লাইভ যাতে সকলে দেখতে পান সেজন্য কিছু এলাকায় এলইডি টিভিরও ব্যবস্থা করছে এই ট্রাস্ট। মন্দির উদ্বোধনের পর কলকাতায় পুরোহিতদের নিয়ে মহাসম্মেলনের ডাক দিয়েছে এই ট্রাস্ট। এদিন ট্রাস্টের সভাপতি জানান, মন্দির উদ্বোধনের পরই কলকাতায় পুরোহিতদের নিয়ে মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হবে। তবে এখনও দিনক্ষণ কোনও চূড়ান্ত হয়নি। ওই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীকেও আমরা আমন্ত্রণ করব। শুক্রবার জগন্নাথ মন্দিরের প্রচারকার্যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু ওই ঘটনার পর রাজ্যে বিজেপি ও বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ধর্মীয় বিভাজন করার চেষ্টা করছেন তা নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি ও রাজ্য বিরোধী নেতা ইচ্ছাকৃতভাবে একটা ধর্মীয় উসকানি ও উন্মাদনা তৈরি করে ধর্মীয় বিভাজন করতে চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গ সনাতনী রাজ্য ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে।” ট্রাস্ট সভাপতি বলেন, জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না। যেটা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত ঘৃণ্য। কিন্তু বাংলায় ভোটের রাজনৈতিক ফায়দা নিতে বিজেপি বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে।