তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে বিহার থেকে গ্রেপ্তার যুবক
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় আগেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে অধরা ছিলেন দুই অভিযুক্ত। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই অভিযুক্তদের সন্ধান দিতে পারলে মিলবে ২ লক্ষ টাকা। খুনের প্রায় চার মাস পর পুলিশ তাঁদের মধ্যে থেকে কৃষ্ণ রজক (৩০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি একজন তৃণমূল কর্মী।
সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে খুন করা হয়েছিল। বাইকে করে এসে গুলি করেছিলেন খুনিরা। তারপর তাঁরা গা ঢাকা দেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় পুলিশের তল্লাশি। গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে। তবে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। একজন এলাকার তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণ রজক এবং অন্যজন বাবলু যাদব। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অভিযুক্তদের সন্ধান দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছিল জেলা পুলিশ। খবরদাতার পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে একজন অভিযুক্ত। বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কৃষ্ণ রজককে। বর্তমানে মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জন। বাবলু যাদব এখনও পর্যন্ত পলাতক।
মালদহ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু জানিয়েছেন, অপরাধীদের কোনো দল হয় না। বাংলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত আছে। যাঁরা অপরাধী তাঁরা এখানে ধরা পড়ে এবং সঠিক সাজা পায়। কৃষ্ণ রজককে মালদা জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। দুলাল সরকারের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মালদহে তাঁর বাড়ি গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে অপরাধীদের কাউকে ছাড়া হবে না। এই ঘটনায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এই ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন।