বিধান সরকার: পাঠানকোটে বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের সিও-র সঙ্গে কথা হয় ভোলানাথ সাউ এর। সর্বোচ্চ স্তর থেকে প্রচেষ্টা চলছে পূর্নম কুমার সাউকে ফেরাতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ সময় যাচ্ছে আর উৎকন্ঠা বাড়ছে বিএসএফ জওয়ানের রিষড়ার বাড়িতে। জওয়ানের বাবা ভোলানাথ সাউ জানান, ছেলের পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভারত পাক বর্ডারে পোস্টিং ছিল। বুধবার সকালে ভুল করে দুই দেশের সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক হয়।
সেই খবর পাওয়ার পর থেকে গভীর উৎকন্ঠায় রয়েছে জওয়ানের পরিবার। বাড়িতে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, ছোট ছেলে, বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন। বাবা ভোলানাথ টোটো চালান। পূর্নমের দাদা শ্যামসুন্দর সেভাবে কিছু করে না। বলতে গেলে গোটা পরিবার জওয়ানের উপরই নির্ভরশীল। পাড়া প্রতিবেশীরা জওয়ানের পরিবারের উৎকন্ঠার শরিক হয়েছেন। রবিবার রিষড়ার একটি সংগঠন পূর্নম সাউয়ের মুক্তির দাবীতে মিছিল করবে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন এসে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু ছেলে না ফেরা পর্যন্ত কিভাবে আশ্বস্ত হওয়া যায়! বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। তাই চাইছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যাতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্নমকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, তার বিএসএফ-এর ডিজি র সঙ্গে কথা হয়েছে পাকিস্তানে আটক পূর্নমের বিষয়ে।
পাকিস্তানে কেমন আছে পূর্নমকুমার ? কি খাচ্ছে? শরীর কেমন? কিচ্ছু জানতে পারছেন না। ডিজি তাকে জানিয়েছেন দেশের সরকারি এজেন্সিগুলো সর্বত ভাবে চেষ্টা করছে। পাকিস্তান কিছুটা সময় নিতে চাইছে এ বিষয়ে। তারা আশা করছেন জওয়ানকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ডিজি নিশ্চিত করেছেন পূর্নম বর্তমানে পাকিস্তানে সুস্থ সবল আছে।
শুক্রবার রাতে ব্যাটেলিয়ানের সিও জানিয়েছিলেন সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কথাবার্তা চলছে। জওয়ানকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে। শনিবার যখন কথা হয় তখন জানান, ওখানে যেতে চাইলে যেতে পারি। দেশের সব স্তরে কথা চলছে। তাই আমরা পাঠানকোট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি ওখান থেকে কোন সাহায্য না পাই তাহলে দিল্লি যাব। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব স্যার কিছু করুন।
বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা রজনী বলছেন, গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের থেকেও এখন স্বামীর চিন্তা বেশি। আমি চাইছি দ্রুত তাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।চার দিন হয়ে গেল এখনও কোনও আপডেট পাচ্ছি না। পূর্নমকুমারের মা দেবন্তি দেবী বলেন,ছেলে সুস্থ ভাবে ফিরে আসুক এটাই চাই। ছেলের কথা শুনিনি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি অনেক সময় হয়ে গেল।