প্রদ্যুত্ দাস: গেটম্যানই এখন হিরো। রাতের অন্ধকারে রেলের ১৩ নম্বর গেটের গেটম্যান উওম বর্মনের তৎপরতায় রক্ষা পেল পেট্রোল বোঝাই মালবাহী ট্রেন। মালগাড়িতে জ্বালানির ট্যাঙ্কারে আচমকা আগুনের ফুলকি দেখেন উত্তমবাবু। তিনি খবর দেন গার্ডকে। এরপর আরপিএফ ও দমকলের তৎপতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলল।
ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি রোড ও রানিনগরের মাঝে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি রোড ও রানিনগরের মাঝে। আরপিএফ ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্ত বলেন, কীভাবে তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন লাগল বোঝা যাচ্ছে না। তবে খবর পাওয়ার পরই আমরা ফায়ার এক্সটিনগুইশার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। এরই মধ্যে দমকল বাহিনী চলে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জলপাইগুড়ি ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ রামেশ্বর পান্ডে বলেন, আমরা গিয়ে দেখি, ট্যাংকারের ঢাকনা খোলা। আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে আমরা ওই আগুন নিভিয়েছি। ট্যাংকারটি এনজেপি থেকে অসমের দিকে যাচ্ছিল।
অপরদিকে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, রাত ১.২০ নাগাদ রানিনগর ছাড়ার পরই একটি ওয়াগনের তেলের ট্যাংকারে আগুন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকারটিকে ওয়াগনের থেকে বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। রাত ৩.১৫ মিনিট নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি । ঠিকঠাক চেক করিয়ে আজ সকাল ৯.৩০ নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে ট্রেনটি রওনা হয় বলে আরপিএফ সূত্রে জানা যায়।
উত্তম বর্মন বলেন, রানিনগরে কাজ করি। রাত ১টা ২৬ নাগাদ আগুন দেখতে পাই। দেখেই তা গার্ডকে বলি। গার্ডবাবু তত্পর হয়ে ওঠেন। এরপরই গাড়িটি ১৪ নম্বর গেট পার করে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।