নব্যেন্দু হাজরা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য বিকল্প বেতনের ব্যবস্থা করল রাজ্য। যতদিন না আদালতে মামলার ফয়সালা হচ্ছে ততদিন এই বেতন মিলবে। শনিবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী মাস অর্থাৎ মে মাসেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মীদের জন্যও দাখিল হবে রিভিউ পিটিশন।
এদিন নবান্ন সভাঘরে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ছিল মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। সেখানেই ফোনে চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানান, চাকরিহারাদের জন্য রাজ্য সরকার ব্যথিত। আদালতের রায় অমান্য করা সম্ভব নয়। তবে কীভাবে তাঁদের সংসার চলবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারও চিন্তিত। তাই তাঁদের জন্য় বিকল্প বেতনের প্রস্তাব দেন মমতা। চাকরিহারা গ্রুপ কর্মীদের মাসিক ২৫ হাজার এবংগ্রুপ ডি চাকরিহারাদের জন্য ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকারের শ্রমদপ্তর। এর সঙ্গে শিক্ষাদপ্তরকে যুক্ত করছে না রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রাজ্য সরকার ডানলপের বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের মাসিক ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করে। তেমনই গ্রুপ সি ও গ্রু ডি-র চাকরিহারাদের আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। ওঁরা রাজি থাকলে এই টাকা দেওয়া হবে। যতদিন না আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হয়।”
সুপ্রিম রায়ে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি গিয়েছে। চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতে যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতে আদালত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়োগের সময় দিয়েছেন বিচারপতি। ততদিন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা চাকরি করতে পারবেন, সঙ্গে মিলবে বেতনও। কিন্তু চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের কাজে ফেরার অনুমতি দেয়নি শীর্ষ আদালত। ফলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন মমতা। মাসিক ভাতার ঘোষণা করলেন।