মুখ্যমন্ত্রীকে ‘না’, শুভেন্দুর অর্থ সাহায্য নিল জাফরাবাদে নিহতের পরিবার, প্রকট রামবাম আঁতাঁত?
প্রতিদিন | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
শাহজাদ হোসেন, মুর্শিদাবাদ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছিল জাফরাবাদে মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবার। কিন্তু সেই পরিবারের সদস্যরাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অর্থ সাহায্য গ্রহণ করলেন। সিপিএমের দাবি ছিল, মৃত ও তাঁদের পরিবার বামেদের সমর্থন করে। কিন্তু শুভেন্দুকে ‘হ্যাঁ’ করে গোটা ঘটনায় য়েন রাজনীতির রং লাগিয়ে দিলেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, বাম ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের পথে পা বাড়ালেন তাঁরা?
সরকারি সাহায্য ফিরিয়ে রাজনৈতিক নেতা বা দলের অর্থ সাহায্য নেওয়ায় গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানোর বিষয়টি প্রকট হয়েছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমো হিসাবে নন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন। সেই সাহায্য ফিরিয়ে দেওয়ায় জোরালো হয়ে উঠেছে এই তত্ত্ব।
হাই কোর্টের একাধিক শর্ত মেনে শনিবার মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেখা করেন দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে। সেখানে পরিবারের হাতে তিনি ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পরিবারের হাতে তুলে দেন। সেই সাহায্য গ্রহণ করে মৃতদের পরিবার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি পরিবারকে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে দিয়েছি। ওঁরা গ্রহণ করেছেন। এই পরিবার নাকি সিপিএম বলেছিল। প্রমাণ হয়ে গেল পরিবার কার।” তিনি আরও বলেন, “আমি হিন্দু হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছি। পরম প্রাপ্তি।” এরপরই প্রশ্ন উঠছে পরিবার সরকারি সাহায্য প্রত্যাখান করে কোনও নেতা বা রাজনৈতিক দলের আর্থিক সাহায্য নেওয়ার পিছনে কি রাজনীতি আছে? কেন সরকারি সাহায্য নিতে চাইলেন না তাঁরা? কেউ কি তাঁদের প্ররোচনা দিয়েছে?
এদিকে মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে ৩০০টি বাড়ি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বাংলা বাড়ির প্রকল্পে তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র মারফত খবর, সেই মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি তৈরি করার জন্য প্রথম কিস্তির টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার আগেই পৌঁছে যাবে। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরের সভা থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই জেলায় যাবেন মমতা।