নদিয়ার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিতর্কিত পোস্টার! সম্প্রীতি বজায়ে শান্তিমিছিল টিএমসিপির
প্রতিদিন | ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সুবীর দাস, কল্যাণী: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন মহলে। জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পালটা প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছেন। পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে গুলি করে মেরেছে জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ক্ষোভ বাড়ছে দেশের একাংশের। এবার সেই আবহেই নদিয়ার হরিণঘাটা মোহনপুর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দেখা গেল বিতর্কিত পোস্টার। আর সেই পোস্টার নিয়েই জোর চাঞ্চল্য, চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসের মধ্যে। যদিও পোস্টার দেখার পরেই কর্তৃপক্ষের তরফে সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি মিছিলও করা হয়েছে। এই জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। গতকাল শুক্রবার কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরফ থেকেও ওই হামলার প্রতিবাদ করে পথেও নামা হয়েছিল। হিংসামুক্ত করার আহ্বানও জানানো হয়। এদিকে সেই পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল শুক্রবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই বিতর্কিত পোস্টার দেখা যায়। একটি নোটিশ বোর্ডে সেই পোস্টার লাগানো ছিল।
ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। ক্যাম্পাসে সম্প্রীতির পরিবেশ দেখা যায় সবসময়। তাহলে কি সেই পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সেই আশঙ্কা করেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। ঘটনার পরেই ক্যাম্পাসের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। ক্যাম্পাসে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা।
ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাতের অন্ধকারে যারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তাদের ধিক্কার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক। হরিণঘাটা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার জানিয়েছেন, এই পোস্টার কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়ালো কীভাবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সেসব প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য রাখা হয়নি বলেই খবর।