ধাপার একটি কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। আরও ইঞ্জিন আসছে আগুন নেভাতে বলে খবর। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা জোরকদমে করা হচ্ছে। আগুনের ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন ধাপায় বিধ্বংসী আগুন লাগা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁয়ায় ডেকে গিয়েছে গোটা ইএম বাইপাস এবং সংলগ্ন এলাকা। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন রুদ্ধশ্বাস গতিতে কাজ করছে। ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণের থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান।
এদিকে এই বিধ্বংসী আগুন লেগেছে প্লাস্টিক ও টায়ারের গুদামে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বাইপাস সংলগ্ন এলাকা। তখন স্থানীয় বাসিন্দারই প্রথমে ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ওই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন আসে। কিন্তু, আগুন আর ধোঁয়ার দাপটে লণ্ডভণ্ড অবস্থা তৈরি হয়। তাই আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। আর অন্যান্য বাড়িগুলিতে যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রেখেছে পুলিশ।
অন্যদিকে আজ শনিবার দুপুরে ধাপায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগুনের লেলিহান শিখায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। দ্রুত ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য অংশে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে গোটা এলাকাকে। কালো ধোঁয়ার ব্যাপক আকারে বেরিয়ে অন্ধকার করে দেয় এলাকা। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখন অবস্থা খুব খারাপ। চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে একটা ট্রান্সফোর্মার রয়েছে। ওটা থেকেই আগুন লেগেছে কারখানায়। তারপর সেটা আশপাশের কারখানায় ছড়িয়ে যায়।
এছাড়া আগুনের উৎসস্থল খোঁজার চেষ্টা প্রথমে করেন দমকলের কর্মীরা। দমকা হাওয়া চলায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এই আবহে খোঁজ নেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে আমরা গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের দু’জন সিনিয়র অফিসার সেখানে রয়েছেন। যেভাবে বেআইনিভাবে দাহ্য পদার্থ সবাই মজুত করে রাখছে সেটা চিন্তার বিষয়। আমরা তো আগুন নিভিয়ে দেব। কিন্তু যাঁরা এই কাজ করেছে তাঁদের সতর্ক থাকা উচিত। আমরা এই নিয়ে বারবার মাইকিং করেছি, মিটিং করেছি। লাইসেন্স ছাড়াই প্লাস্টিক, টায়ার জমা করছে। ওখানকার কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা হয়েছে।’