• স্ত্রী-সন্তান বাইরে, প্রৌঢ়ের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল মর্গে, এর পরের ঘটনায় শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল আত্মীয়দের
    এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বাইরে থাকেন। হার্ট অ্যাটাকে প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর আত্মীয়রা দেহ রেখে যান বেসরকারি নার্সিংহোমের মর্গে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই দেহ পচে গন্ধে টেকা দায়। শুধু তাই নয়, দেহ বিকৃতও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। এই ঘটনাকে ঘিরে শনিবার তুমুল অশান্তি ছড়ায় বাঁকুড়া শহরের জেল রোডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের দাবি, ফ্রিজার ভিতর থেকে কোনও ভাবে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায়নি। পাল্টা মৃতের পরিবারের দাবি, প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ টাকা করে নিয়ে দেহ রাখা হয়েছে। এ দায় তো এত সহজে ঘাড় থেকে নামিয়ে দিলে চলবে না।

    বাঁকুড়া শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিশ্রপাড়ার বাসিন্দা তারকনাথ মিশ্র শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ বাড়িতেই প্রয়াত হন। তাঁর এক আত্মীয় জানান, তারকনাথের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বাইরে থাকেন। ছেলে থাকেন বেঙ্গালুরু, স্ত্রী চেন্নাই, মেয়ে শিমলা। ফিরতে সময় লাগবে বলে দেহ রাখা হয় এলাকার একটি নার্সিংহোমের মর্গে।

    ওই আত্মীয়ের দাবি, ‘আমাদের বলা হয় ঘণ্টায় ৩০০ টাকা নেবে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এখানে দেহ নিয়ে আসি। শুক্রবার বিকেলেই তাঁর স্ত্রী এসেছিলেন। বলা হয়, এ ভাবে দেহ দেখতে দেবেন না। দেহ নেওয়ার সময়ই দেখতে পাবেন। আজ ছেলে-মেয়ে আসার পর দেহ নিতে এলে বলা হয় রুম ফ্রেশনার বা আতর আনুন। না হলে বডি বের করা যাবে না। গন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পর আমরা যা দেখলাম, ভয়ঙ্কর! ফ্রিজার বন্ধ ছিল। তাই এই অবস্থা।’

    এর পরই নার্সিংহোমের মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিজনেরা। মৃতের পরিজনদের দাবি, দেহ সংরক্ষণের জন্য যে ধরনের কুলিং সিস্টেম প্রয়োজন তা ব্যবহার না করেই সংরক্ষণের নামে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃতের পরিজন ও এলাকাবাসী। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত একেবারেই নয়। তাঁরা দুঃখিত। তবে এ দাবি মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন।

  • Link to this news (এই সময়)