'কাশ্মীরে ২৬ পর্যটক আর কুম্ভমেলায় মৃত্যু হয়েছে ১০০ পুণ্যার্থীর, সংসদে আলোচনা চাই', আর্জি কল্যাণের ...
আজকাল | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আবারও ইন্ডিয়া জোটের মুখ করার দাবি তুললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। শনিবার চুঁচুড়ায় আয়োজিত সভা থেকে সাংসদ বলেছেন, 'বর্তমানে যা পরিস্থিতি, সব বিরোধীদের বলব মমতা ব্যানার্জিকে ইন্ডিয়া জোটের মুখ করে দেখুন না! আগামী ছ'মাসে ভারত বর্ষ কোথায় যায়। কাশ্মীরে যা হয়েছে খুবই নিন্দনীয়। সব বিরোধী দল মিলে বলেছি, আপনি ব্যবস্থা নিন, আমরা পাশে থাকব।'
তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'চারদিন পার হয়ে গেল। ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হল কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে। তার জন্য আমরা শোকস্তব্ধ। কিন্তু কুম্ভমেলায় গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জন হিন্দু পুণ্যার্থীর। আমরা, পার্লামেন্টে আলোচনা চাই। কিন্তু করতে দেওয়া হয় না। ওষুধের উপর আবার দাম বাড়িয়েছে। রান্নার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল সহ জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। শ্রীরামপুরে রেল হকার উচ্ছেদ করতে চাইছে। সব কর্পোরেট লবির হাতে তুলে দিতে চাইছে। আগে সরকারের কাজ ছিল রেল, পোস্ট অফিস, বিমান সব চালানো। আর বর্তমান সরকারের নীতি সব কর্পোরেট চালাবে। তাহলে সরকার কী করবে?'
কল্যাণ আরও বলেন, 'যোগীজির আমলে কুম্ভমেলায় যে ১০০ জনের উপরে হিন্দু মারা গেলেন, তার দায়িত্ব কার! আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। কিন্তু কোনও সেনসিটিভ মেটারে আমাদের আলোচনা করতে দেওয়া হয় না।' কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'ভারতবর্ষের অখণ্ডতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সার্বভৌমত্বকে বজায় রাখতে আপনি, মোদিজি ব্যবস্থা নিন। প্রতিশোধ নিন। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। দেশবাসী আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।'
এদিন সভা মঞ্চ থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে সাংসদ বলেছেন, 'মেজো ভাই হিন্দু-মুসলমানে লড়াই লাগিয়ে রক্তের উপর দিয়ে গদি পেতে চাইছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে গদি পাওয়া যায় না। রাজা সবার রাজা হয়। সে কোনও ভেদাভেদ করে না। ভারতবর্ষ সেক্যুলার। সেটা সংবিধানে বলা আছে। এখানে সব ধর্মের মানুষ থাকে। আর বলছে হিন্দু হিন্দু। সনাতন বলছে। সনাতন কারা? উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্রের যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরা সনাতন? আর ওদের মতে বাকিরা কি হিন্দু নন? আমরা বাঙালি। হিন্দুরা তাহলে কী! আমরা মানুষের পাশে থাকি। বিরোধী দলনেতা ২৬ সালে বিরোধী দলনেতা হতে পারবেন না। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। এটা গত নভেম্বর মাসে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ওই দিনই কাঁথিতে হরিনাম সংকীর্তন করতে হবে।'